আমেরিকা, চীন ও ভারত বৃহৎ তিন শক্তিই বাংলাদেশকে পাশে চায়

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:২০, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৩ পৌষ ১৪২৮
বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে
বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার: পরাশক্তি আমেরিকা, উদীয়মান পরাশক্তি চীন ও এশিয়ার আঞ্চলিক শক্তি ভারত এই তিন বৃহৎ শক্তির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ছে এই তিন দেশের কাছে। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সর্বাত্মকসমর্থন ও চীনের বিরোধিতার কারণে আওয়ামী লীগ বরাবরই ভারতকে গুরুত্ব দেয়। 

তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে ভারতকে করিডোর, ট্রানজিট দেয়াসহ মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুবিধাও দেওয়া হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনেও আওয়ামী লীগ সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

ভারতকে নানান সুবিধা পেতে দেখে চীনও বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবে এটি  রাজনৈতিকভাবে নয়, বাংলাদেশকে অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সাহায্য-সহায়তার মাধ্যমে। ঠিক একই সময় আমেরিকাও বাংলাদেশের ওপর নজর দেয়া শুরু করে। 

অর্থনীতির ক্ষেত্রে বর্তমানে সর্ববৃহৎ শক্তি হচ্ছে আমেরিকা আর দ্বিতীয় চীন। তবে সামরিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রাশিয়া। তৃতীয় ও চতুর্থ রাষ্ট্র হলো যথাক্রমে চীন ও ভারত। আগামী দশ বছরের মধ্যে অর্থনীতি ও প্রযুক্তির জোরে বর্তমানে পরাশক্তির দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়াকে আগামী ১০ বছরে টপকে দ্বিতীয় চীন হবে বলে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

চীনের এই উত্থানের গতি আমেরিকা সর্বক্ষণ বিবেচনায় রাখছে। আগামীর বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকা প্রবল প্রতিদ্বন্বদ্বী হবে চীন। এজন্য এখন থেকেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চীনকে প্রতিহত করতে এগুচ্ছে আমেরিকা। 

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যার নৌ শক্তি যত প্রবল, সে ততটা শক্তিশালী। ভূ-রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব অসাধারণ। বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী তিনটি দেশ হলো ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে মিয়ানমার রয়েছে চীনের সাথে।

ভারতের সাথে চীনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এমতাবস্থায় চীন-ভারতের বিরোধের সুযোগ নিয়ে এই অঞ্চলে রাজনীতি করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারত তাদের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে। 

ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সুত্র ধরে এতদিন যুক্তরাষ্ট্র শর্তহীনভাবে বাংলাদেশকে ভারতের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছিল তবে বাংলাদেশকে ভারতের জিম্মায় ছেড়ে দিতে রাজি নন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকা এখন বাংলাদেশের সাথে সরাসরি সম্পর্ক রাখতে চায়। এ জন্যই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ে ফোন করে সরাসরি অস্ত্র সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন।

এদিকে চীন বিরোধী জোটের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় চীনও বাংলাদেশকে তার সাথে চায়। এজন্য চীন বাংলাদেশকে কোয়াডে যোগদানের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। একই সাথে চীনও বাংলাদেশকে তোষণও করেছে। 

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ যেন চীনের দিকে ঝুঁকে না পড়ে সে ব্যাপারে আমেরিকা যেমন সতর্ক, তেমনি ভারতও অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে। মার্কিন শিবিরে গেলে ভারতের আপত্তি নেই তবে তাই বলে ভারত চায় না যে বাংলাদেশ ভারতকে টপকে আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়ুক।

এই অবস্থায় বাংলাদেশকে নিয়ে তিন বৃহৎ শক্তির টানাটানি শুরু হয়েছে। ভূ-রাজনীতি ও ভূস্ট্র্যাটেজির জটিল আবর্তে বাংলাদেশকে জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। টান টান রশির উপর বাংলাদেশ সতর্কভাবে পা ফেলার পরামরমর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

Share This Article


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের আমির

যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো

কাতারের আমির আজ ঢাকা আসছেন

সোমবার ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, সই হচ্ছে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

টিকফা নিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠক আজ

খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়: প্রধানমন্ত্রী

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নির্দেশনা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

এবার ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

নির্বাচনের পর প্রথম ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের ভয়ঙ্কর ৩২ দিন!