কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারী ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১৫, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২ পৌষ ১৪২৮
কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারী ধর্ষণ
কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারী ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পর্যটননগরী কক্সবাজারে বেড়াতে আসা নারীর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের শিকার সেই নারীর অভিযোগপত্রে তার দেওয়া বক্তব্যের সাথে মিল নেই আদালতের জবানবন্দীতে। এছাড়া অনৈতিক কাজের অভিযোগে এ বছরের শুরুতেই কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোন থেকে গ্রেপ্তারের অভিযোগও রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।

২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তানজীনের আদালতে ১৮ পৃষ্ঠার জবানবন্দি দিয়েছেন ভিকটিম। আদালতকে ওই নারী জানান, আট মাস বয়সী অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসায় অর্থ জোগাড় করতে স্বামীসহ তিনি কক্সবাজারে এসেছেন। তার সন্তানের হার্টে ছিদ্র রয়েছে। এর চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। সন্তানকে বাঁচাতে টাকা জোগাড় করাই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু সেই পথকে মসৃণ হতে দেয়নি সন্ত্রাসীরা। নিয়মিতই চাঁদা দাবি করে। বাধ্য হয়ে একবার ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। পরে আবার চাঁদা চাইতে গেলে স্বামীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এর সূত্র ধরেই তাকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে।

জবানবন্দিতে ওই নারী আরও জানান, সৈকত পোস্ট অফিসের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে আশিকের দুই বন্ধু তাকে ধর্ষণ করে। এর পর আশিক আবার তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের একটি কক্ষে। সেখানে ইয়াবা সেবন করে ধর্ষণের একপর্যায়ে একটি ফোন কলে পুলিশের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে আশিক কক্ষ থেকে দ্রুত বের হয়ে যায়।

তবে এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তারা ২২ ডিসেম্বর বিকালে বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তারা। এরপর তাকে জিয়া গেস্ট ইনে আবার ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। আর সেই ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে র‌্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারী গত ৮ জানুয়ারি কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল। যদিও তিনি সন্তানকে বাঁচাতে অনৈতিক কাজে জড়িয়েছেন বলে আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। এছাড়া কলাতলী এলাকায় সি ল্যান্ড নামে একটি গেস্ট হাউসে ঘটনার দুদিন আগে সন্ত্রাসী আশিকুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Share This Article


আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোয় নিষেধাজ্ঞা

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান

কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার সরবরাহ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ২

শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্য মন্ত্রী

আশকোনায় হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

৩ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে গ্রাম আদালত বিল পাস

প্রধানমন্ত্রী হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন আজ

আজ পঁচিশে বৈশাখ, কবিগুরুর জন্মদিন

১৩৯ উপজেলায় ভোট চলছে

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত

তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রামে

প্রকল্প নেওয়ার আগে জনগণের উপকার বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর