সামরিক খাতে মার্কিন অনুদান পেতে মানতে হবে ‘শর্ত’ !

নিরাপত্তা বাড়াতে বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের সামরিক খাতে অনুদান দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বিগত বছরগুলোতে অনুদান দেয়ার সময় কোনো শর্তই ছিল না, তবে এবার নতুন করে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে দেশটি।
জানা গেছে, শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই এ শর্তগুলো প্রযোজ্য হবে এমনটি নয়, যেসব দেশের সামরিক খাতে মার্কিন অনুদান বিদ্যমান সেসব দেশকেই মানতে হবে এ নির্দেশনা। অন্যথায় পাবে না অনুদান।
সম্প্রতি বিদেশে সামরিক অনুদান প্রদান বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের লিহেই আইনে সংশোধনী এনেছে বাইডেন প্রশাসন।
সংযোজিত ধারায় বলা হয়েছে, কোনো দেশের নিরাপত্তা সংস্থা বা বাহিনী যদি নির্যাতন, আইনবহির্ভূত হত্যা, গুম ও ধর্ষণজনিত কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে ওই সংস্থাকে অনুদান দিতে পারবে না মার্কিন সরকার।
এক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে এমন কোনো সংস্থা বা বাহিনীও মার্কিন অনুদান পাবে না।
বাইডেন প্রশাসনের বৈশ্বিক অনুদান বিষয়ক ওই অবস্থান নিয়ে সরকারের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোন্ খাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান ব্যবহার করবে অর্থাৎ কোন্ বাহিনীকে কীভাবে বরাদ্দ দিবে তা তাদের আগাম জানাতে হবে।
বাংলাদেশ এ বিষয়ে ইতিবাচক জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী মার্কিন অনুদান অব্যাহতভাবে পেতে হলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও নতুন করে শর্ত মেনে চুক্তি সই করতে হবে। ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই বাংলাদেশ চুক্তি সই করবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছে। ওই সহায়তার উল্লেখযোগ্য অংশ বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশকে দুটি হ্যামিলটন কাটার নৌজাহাজ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীকে সহায়তার জন্য ৫০টি মাল্টি রোল আর্মাড পার্সোন্যাল ক্যারিয়ারও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে দেশটি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২০১২ সালে ১৮ কোটি ডলারের চারটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান পেয়েছে বাংলাদেশ।