কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান জিম্মি করে গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার ৫

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৫৯, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১ পৌষ ১৪২৮
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান জিম্মি করে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে ধর্ষণকাণ্ডের মূলহোতা আশিকুল ইসলাম আশিক এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

 

গ্রেফতারকৃতদের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। এ বিষয়ে রোববার দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজিনের আদালতে জবানবন্দি ভুক্তভোগী ওই নারী।

এর আগে বৃহস্পতিবার ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, বুধবার বিকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তারা বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।

এরপর তাকে নেওয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে র্যা ব এসে তাকে উদ্ধার করে।

চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আশিকুর রহমান ও তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

টুরিস্ট পুলিশকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এদের মধ্যে প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ইয়াবা অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইস্রাফিল খোদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।

Share This Article