মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দফতর)। র্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। এমতবস্থায় র্যাব ও পুলিশের মনবল ভাঙবে না বলে মনে করছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
২১ ডিসেম্বর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আইজিপির ২২ মিনিটের ধারণকৃত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, রাজনৈতিক নয়, নগরবাসীর শান্তির হাতিয়ার হিসেবেই পুলিশ কাজ করছে। মনোবল ভাঙার প্রশ্নই ওঠে না বরং এমন ধাক্কায় নিজেদের পেশাগত প্রত্যয় দৃঢ় হয়েছে পুলিশের। আর আজকের যে র্যাব, তার দক্ষতার পেছনে ব্রিটিশ-মার্কিন প্রশিক্ষণের অবদানও রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দেন পুলিশ প্রধান।
তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজতের ঢাকা অবরোধে যারা সফল হয়নি বা ২০১৫ সালে যারা টানা চার মাস ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, তারা বেনজীর আহমেদের দায়িত্ব পালনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে দেখেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাকে নাকচ করে দিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এটা সারপ্রাইজ নয়। এটা আকস্মিক, দুঃখজনক, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত। যা হয়েছে সব আইন মেনেই হয়েছে। যদি আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়ে থাকে, সেটিও যথাযথভাবে দেখছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
মার্কিন রাজস্ব দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন বর্তমান পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আনোয়ার লতিফ খান ও র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ।