৩ লাখ সেনার বিশাল বাহিনী :পাহাড়ে চলছে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে এবার স্বশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির লাখ লাখ তরুণ। শহর ছেড়ে তারা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে আশ্রয় নিচ্ছে,যেখানে তাদের দেয়া হচ্ছে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ। ইতিমধ্যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামের একটি বাহিনীও গঠন করা হয়েছে।
২১ ডিসেম্বর বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রশিক্ষণের ভিডিও চিত্রসহ সংবাদটি প্রকাশ করে।
প্রায় ১০ মাস আগে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী। তারা ক্ষমতাসীন নেত্রী সুচিকে কারান্তরিন করে ও দেশে সামরিক আইন জারি করে।
এর প্রতিবাদে তখন রাস্তায় নেমে এসেছিলো দেশটির সাধারণ মানুষ। কিন্তু সামরিক বাহিনী সেই বিক্ষোভ কঠিন হাতে দমন করে।
এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সেই বিক্ষোভ দমনের পর সেনাবাহিনী আন্দোলনকারীদের একে একে খুঁজে বের করতে শুরু করে। এতে তারা আর শহরে নিরাপদে থাকতে পারছিলেন না। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য তারা যুদ্ধকেই বেছে নিয়েছেন।
রয়টার্স বলছে তাদের প্রশিক্ষণের ধরণ পুরোপুরি সেনাবাহিনীর মতোই। গুলি চালানো, বোমা নিক্ষেপ থেকে শুরু করে সব ধরণের প্রশিক্ষণই এখানে দেয়া হচ্ছে। এখানে প্রশিক্ষণরত নারী-পুরুষরাই কিছুদিন আগে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন।
জানা গেছে, পিপলস ডিফেন্স ফোর্স বা পিপিএফ এর সদস্য সংখ্যা ইতিমধ্যে ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে,যা প্রায় একটি নিয়মিত বাহিনীর সমপর্যায়ের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মিয়ানমারকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
রয়টার্স বলছে, প্রতিদিনই শত শত তরুণ-তরুণী ক্যাম্পে আসছে। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে এখানে যোগ দিচ্ছেন নানান পেশার মানুষ। তারা ক্যাম্পের কাছাকাছি গ্রামগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা পিপিএফ বাহিনীতে যুক্ত হবেন। তাদের লক্ষ্য এখন একটাই, দেশটির সামরিক জান্তাকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।