‘নতুন শিক্ষাবর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম জানুয়ারি থেকে পুরোপুরি শুরু হচ্ছে না’

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৩২, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮ পৌষ ১৪২৮

ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন 'ওমিক্রনে'র আশঙ্কায় জানুয়ারিতে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম প্রথম থেকেই পুরোপুরি শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি আরও বলেন, আগামী মার্চ পর্যন্ত বর্তমান সময়ের মতোই স্বল্প পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম চলতে পারে। এরপর যদি সংক্রমণ আর না বাড়ে, তার পর থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চলতে পারে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় বিনা মূল্যের পাঠ্যবইয়ের ছাপার কাজ দেখতে গিয়ে দীপু মনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গতবারের মতো আসন্ন নতুন শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বিনা মূল্যে বই বিতরণের উৎসব হবে না। শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হবে।

'ওমিক্রনে'র আশঙ্কায় জানুয়ারিতে শিক্ষাক্রম স্বাভাবিক করা যাবে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,'ওমিক্রন' নিয়ে এখনো শেষ কথা বলার সময় আসেনি।  করোনাভাইরাসের এই ধরন যুক্তরাষ্ট্রে , ইউরোপে ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। এ জন্য আমাদের আরেকটু বোধ হয় দেখা দরকার।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও সবদিক দিয়ে ভালো অবস্থায় আছি, কিন্তু একই সঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে। করোনার সংক্রমণ এখানে মার্চে বাড়ে । এ কারণে মার্চ মাস পার না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না, খুব নিরাপদ অবস্থায় আছি। কাজেই সতর্কতা ষোলো আনা রাখতে হবে।

বই বিতরণের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারও বই উৎসব করার মতো অবস্থা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কাজেই সব বিদ্যালয় ক্লাস ধরে ধরে বই দেবে। শিক্ষার্থীরা সময়মতোই বই পেয়ে যাবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, মাধ্যমিকে ইতিমধ্যে ২১ কোটির বেশি বই বাঁধাই হয়ে গেছে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে প্রায় সব বই হয়ে যাবে। তারপরও কিছু বাদ থাকলে সেগুলোও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া যাবে।

নতুন বছর থেকে যে দুটি শ্রেণিতে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালুর কথা ছিল, সেগুলোয় জানুয়ারির পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে বই দেওয়া হবে হলে জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের সেপ্টম্বরে শ্রেণিকক্ষে ফেরার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article