করোনা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই লন্ডনে !

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:১৫, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮ পৌষ ১৪২৮
লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন দর্শণার্থীরা
লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন দর্শণার্থীরা

প্রতিদিন যুক্তরাজ্যে এখন প্রায় এক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। নতুন ভাইরাস ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। কিন্তু তারপরও যুক্তরাজ্যের মানুষের এনিয়ে কোনোরকম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই। বরং তারা এখন ব্যস্ত ক্রিসমাস এবং নতুন বছর উদযাপন নিয়ে।

গত ২২ ডিসেম্বর সরকারের মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সভাপতিত্বে। ওই বৈঠকে নতুন করে কোনো বিধিনিষেধ আরোপের কথা বিবেচনা করছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিস জনসন। বরং তিনি বুস্টার ডোজের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং যারা এখনো ভ্যাকসিন নেননি তাদেরকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেয়ার কথা বলেছেন। 

 

 

লন্ডনে এখন উৎসবের আমেজ চলছে, শপিংমলগুলোতে ভিড় উপচে পড়া। গতবছর যখন প্রতিদিন গড়ে পঞ্চাশ হাজার করে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিল সেই সময় লন্ডনে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। গত বছর এখানে হয়নি ক্রিসমাস, হয়নি নববর্ষ বরণ। ফলে এবার যেনো মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছে, কত আক্রান্ত হলো সে খবর কেউ নিচ্ছে না।

লন্ডনে গণমাধ্যমের রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। দোকানপাটে মানুষ অবাধে ঘোরাফেরা করছে এবং এই সমস্ত জনগণের অর্ধেকেরই কোন রকম মাস্ক নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার তো কোন বালাই নেই লন্ডনে। বড় বড় শপিং মল গুলো যেমন ব্লু ওয়াটার মল, ওয়েস্ট ফিল্ড, অক্সফোর্ড স্ট্রিটে মানুষের তিল ধারণের কোন ঠাঁই নাই। এসব জায়গায় ঘুরলে কে বলবে যে যুক্তরাজ্যে এখন আক্রান্তের হার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি। ব্রিটিশ জনগণ বলছেন যে তারা যেহেতু টিকা নিয়েছেন কাজেই ওমিক্রন আক্রান্ত হলে সেটি সাধারণ সর্দি জ্বরের মতো হচ্ছে, দশ দিনের মধ্যে তারা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। একটি ইতিবাচক দিক লক্ষ্য করা গেছে যে যারা করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তারা ওমিক্রন আক্রান্ত হলেও জটিলতার মধ্যে পড়ছেন না। বরং তারা বাসায় চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠছেন, হাসপাতালে যাবার প্রবণতা অনেক কমে গেছে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। যার ফলে করোনাকে পাত্তাই দিচ্ছেনা লন্ডনবাসি। এখন ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আগামী ক্রিসমাসের আগে কোন ধরনের লকডাউন এর সম্ভাবনা নেই। তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে ক্রিসমাস পর্যন্ত এই জনস্রোত যদি থাকে তাহলে হয়তো ওমিক্রনও একটি নতুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে আসতে পারে লন্ডন বাসির মধ্যে এমন কি বিশ্ববাসীর মধ্যে।

তবে যাই হোক না কেন সেই পরিণতির কথা এখন খুব কম লন্ডনবাসী ভাবছেন। বরং তারা এখন উৎসবের আমেজ নিয়ে ব্যস্ত। বিভিন্ন শপিং মলের সামনে গান বাজনা এবং তা উপভোগ করার মতো মানুষের সংখ্যা কোনোভাবেই উপেক্ষা করার মতো নয়। শেষ পর্যন্ত এই উৎসব লন্ডনবাসির মধ্যে কি পরিণতি আনবে সেটি দেখার বিষয়। শুধু যুক্তরাজ্য নয় ইউরোপজুড়েই এখন উৎসবের আমেজ চলছে। যদিও নেদারল্যান্ড সহ কিছু কিছু দেশে কিছু নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা মানছে খুব কম মানুষই।

Share This Article


‘অনাহারে’দিন কাটছে গাজার অর্ধেক জনসংখ্যার: জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার

যুক্তরাষ্ট্র টিকটক নিষিদ্ধ এখন শুধু বাইডেনের সইয়ের অপেক্ষা

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের ভেতর গভীরতম হামলা হিজবুল্লাহর

সার্বিক সংস্কারের ঘোষণা ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে: অমিত শাহ

যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত, দুজনের মৃত্যুর শঙ্কা

জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু

ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করে যে বার্তা দিচ্ছে হিজবুল্লাহ

ছবি তুলতে গিয়ে পড়ে গেলেন আগ্নেয়গিরিতে, চীনা পর্যটকের মৃত্যু

মাঝ আকাশে ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০

মাঝ আকাশে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০