রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে যা বললেন ইনু

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৮, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭ পৌষ ১৪২৮

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দিনে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

 

তিনি বলেন, এই আলোচনা  গ্রহণযোগ্য দক্ষ নির্বাচন কমিশন উপহার দিতে সাহায্য হবে। আমরা আরও বলেছি যে, সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী একটি আইনি কাঠামো না থাকায় তুলনামূলকভাবে একটি অনুসন্ধান কমিটির মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগটা ভালো।


জাসদের এ নেতা বলেন, তিন নম্বর কথা বলেছি, পাঁচ বছর পর পর এ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়, তা থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতি যেন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে একটা আইনি কাঠামো তৈরি করার জন্য উনি যেন সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা দেন। তারপর আমরা বলেছি সার্চ কমিটি ও অনুসন্ধান কমিটি সাংবিধানিক সংস্থা থেকে হওয়ায় বাঞ্ছনীয়।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক, সেহেতু সংবিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উনি একটা ভূমিকা রাখতে পারেন। আইন সংসদই করবে, সরকারই করবে, কিন্তু ওনাকে ভূমিকা রাখতে বলেছি। সরকারকে পরামর্শ দিতে বলেছি, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নে যেন সরকার উদ্যোগ নেয়। রাষ্ট্রপতি এই উদ্যোগ নেওয়ার এখতিয়ার রাখেন। আমরা মনে করি, সব মহলকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করে দেবেন।

এর আগে গত সোমবার জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাসদ ছাড়াও ক্ষমতাসীন ১৪ দলের আরও দুই শরিক সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এই দুই দল যথাক্রমে ২৬ ও ২৮ তারিখ বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবে।

এছাড়াও আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় তরীকত ফেডারেশন, সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিস, ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বিএনএফ ও সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামী ঐক্যজোট নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন রাষ্ট্রপতি। তবে এখনো আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্য নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সময় চূড়ান্ত হয়নি।

রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

Share This Article


আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

আহতদের চিকিৎসা ও ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান হারুন

নাশকতাকারীরা যেন ঢাকা না ছাড়তে পারে সেই পরিকল্পনা করছে ডিএমপি

ফুটেজ দেখে জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে

মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় নজিরবিহীন তাণ্ডব

কোটা সংস্কার আন্দোলনে মারা যাওয়াদের কারণ অনুসন্ধান করবে বিচার বিভাগীয় কমিশন

আন্দোলন নিয়ে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দিয়েছে ঢাকা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‘রাতেই বাসা-বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হতে পারে’

‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে’

চার দফা না মানলে আট দফা নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই