গরু-মহিষের নিবন্ধন নিয়ে ট্রল !

সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রাজশাহী জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গরু-মহিষের জন্মনিবন্ধন শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ট্রলের শিকার হয়েছে এই সংবাদটি।
তবে সংস্লিষ্টরা বলছেন, এটি কোন জন্মনিবন্ধন নয়, গরু-মহিষের মালিকদের কয়টা পশু আছে, সেটির একটি তালিকা বিজিবি ক্যাম্পে জমা রাখতে হয়। কেউ গরু ক্রয়-বিক্রয় করলে বা নতুন পশু জন্মালে এটি হালনাগাদ করতে হয়। এটিকেই অনেকে জন্ম নিবন্ধন বলছেন।
জানা গেছে, এটা নতুন কোন বিষয় নয়, গত এক যুগ ধরেই সীমান্ত এলাকায় গরু চোরাচালান রোধে বিজিবি এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
এদিকে এই জন্মনিবন্ধন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানান ট্রলও হচ্ছে, নিউজফিডে ও সংবাদের কমেন্টে অনেকেই জানতে বলেছেন গরু-ছাগলের কি নাম রাখবেন? তা নিয়ে তারা চিন্তিত। কেউ বলছেন এটা অযৌক্তিক একটি কাজ। কেউ বলছেন, দুর্নীতির নতুন রাস্তা বের করা হচ্ছে।
এরা অধিকাংশই নেটিজেন। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কোন পর্যায়েই তাদের কোন অংশগ্রহণ নেই। সামাজিক মাধ্যমে যে কোন বিষয় নিয়েই তারা এসব ট্রল করে থাকেন।
তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন এই প্রক্রিয়া অনুসরন করতে কৃষকদের বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। বিজিবি ক্যাম্প এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে গিয়ে পশুর মালিকদের নিবন্ধন ও হালনাগাদের এই কাজটি করতে হয়। এজন্য পশুর সঙ্গে নিজেদেরও দুর দুরান্ত থেকে হেটে আসতে হয়।
গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত মানুষ অনেক সময় নথিপত্রের কাজও ভালোমত বুঝতে পারেননা। এটিও সমস্যার সৃষ্টি করে।
রাজশাহী বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ জানান, অনেকসময় চোরাকারবারীরা রাতের অন্ধকারে ভারত থেকে গরু এনে রেখে দেয়। পরদিন নিজেদের গরু বলে হাটে বিক্রি করে। এভাবে ভারতীয় গরুতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের কৃষকরাই। তাই গরু চোরাচালান ঠেকাতেই এমন ব্যবস্থা বজায় রেখেছেন তারা।