বাংলাদেশের কৃষি ও মৎসখাতের অগ্রগতির প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:২২, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫ পৌষ ১৪২৮

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী। 

১৯ ডিসেম্বর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, বাংলাদেশ-এর একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানায়।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, 'আমরা ভাগ্যবান যে, আমরা শেখ হাসিনার মত দূরদর্শী নেতা পেয়েছি। বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন। তিনি দেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে সবকিছু ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব দেশের সঙ্গে চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ। আমরা জাতি হিসেবে কোনো দেশের সঙ্গে বৈরিতায় বিশ্বাসী নই।'

তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দু'দেশের মধ্যে ভালো সহযোগিতার সম্পর্কও রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে দু'দেশের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। এ খাতে দু'দেশের মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময়েরও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত উদার। এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে।' 

এ বছর অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা এসময় তুলে ধরেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো উন্নয়নের ব্যাপারেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, 'পোল্ট্রি, লাইভস্টক ও মৎস্য খাতের উন্নয়নে আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।  এ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো সম্পদশালী  ও বড় দেশসমূহকে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র ও ছোট দেশসমূহের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন।'

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি দলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার এগ্রিকালচারাল এটাচি মেগান এম ফ্রান্সিস বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করতে পারে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ দেখে আমি অত্যন্ত মুগ্ধ। এ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র নির্ধারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।'

এসময় যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার কৃষি বিশেষজ্ঞ তানভীর মাহমুদ বিন হোসাইন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার কৃষি সহকারী মো. তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
 

Share This Article


তালাকের হার গ্রামে বেশি, বড় কারণ পরকীয়া

সন্ধ্যার মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

ইজরাইলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের স্বারক পুরস্কারকে কেন ইউনেস্কোর বলে চালালেন ইউনুস?

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল দেখতে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক

বাংলাদেশের গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার: মিলার

৭ এপ্রিলের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট মিলছে আজ

‘২৫ মার্চ মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া’

এবার ঈদের ছুটির যত হিসাব-নিকাশ

সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা

নববর্ষ নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা