কুষ্টিয়ায় আত্মীয়বাড়ি থেকে ফিরে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১০, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪ পৌষ ১৪২৮
স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা
স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিজ বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কয়া আবাসন প্রকল্প থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

নিহতরা হলেন- কয়া আবাসনের জামাল শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৫) ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২০)।

রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ, আবাসনবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন পর আত্মীয়বাড়ি থেকে শনিবার সন্ধ্যায় নিজবাড়ি ফিরে আসেন সুমন ও সোনিয়া। স্বাভাবিকভাবে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে তাদের একমাত্র সন্তান সোহানের (৩) কান্না শুনতে পায় বাবা জামাল শেখ। পরে তিনি তাদের ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করে। ডাকে সারা না পেয়ে জানালা ভেঙে ফেলেন তিনি। এ সময় তিনি দেখেন, সুমন রশির সঙ্গে আঁড়ার ঝুলছে আর সোনিয়া উপুড় হয়ে চৌকিতে শুয়ে আছে।

এরপর তিনি চিৎকার শুরু করেন এবং ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ঝুলন্ত সুমনকে নামানো হয় এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে থানায় নিয়ে আসে এবং রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

তারা আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে সুমন গলায় রশি পেঁচিয়ে এবং তার স্ত্রী সোনিয়া বৈদ্যুতিক শক নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নিহত সুমনের বাবা জামাল শেখ বলেন, রাত পৌনে ১২টার দিকে নাতির কান্নার শব্দ শুনে ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। গিয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি ও ডাকাডাকি করি। সারা না দেওয়ায় ঘরের জানালা ভেঙে দেখি ছেলে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে রশিতে ঝুলছে আর ছেলের বউ চৌকিতে পড়ে আছে। এরপর চিৎকার শুরু করলে আবাসনের লোকজন ছুটে আসে এবং ঘরের দরজা ভেঙে ওদের ঘরের বাইরে নিয়ে আনে। পরে স্থানীয় ডাক্তার এসে তাদের মৃত ঘোষণা করে এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

সোনিয়ার বাবা লিটন বলেন, মোবাইলে খবর পেয়ে রাতেই আবাসনে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার মেয়েকে ঘরের বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে আর জামাইকে চিকিৎসা করা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় আত্মীয়বাড়ি বেড়ানো শেষে বাড়ি ফিরেছে। কীভাবে মারা গেছে জানি না। ময়নাতদন্ত করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

কয়া আবাসনের সভাপতি আজিবর রহমান বলেন, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে দৌড়ে যায়। গিয়ে দেখি মেয়ের গলায় বৈদ্যুতিক তার আর ছেলেটি আঁড়ায় ঝুলছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ একটি কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


সাবেক সংসদ সদস্য বাবলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তৎপর হাইওয়ে পুলিশ

ভালো দাম পাওয়ায় খুশি আলু চাষিরা, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

প্রবেশনে থাকা ৩৫ কিশোরকে ফুল-পতাকা দিয়ে মুক্তি দিলেন আদালত

রাজধানীর শাহজাহানপুরের আলোচিত মাংস বিক্রেতা খলিল

মাংস ব্যবসায়ী খলিলের কাছে আছে একে-৪৭

রাতেই ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, বন্দরে সতর্কতা

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

বাংলাদেশকে জানতে এসেছেন ৩৪ জাপানি শিক্ষক-শিক্ষার্থী

মজুদ পেঁয়াজে চলবে আরও ৪ মাস

৯৯৯-এর ফোনকলে মেছোবাঘ উদ্ধার

১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১২৮ তরুণ-তরুণী

বেনাপোল স্থলবন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ