সুপারি বাগানে তুলে নিয়ে মুখ বেঁধে শিশুকে ধর্ষণ!

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত কাইয়ুমসহ ছয়জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত খাইয়ুম পলাতক রয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের পূর্ব গাইয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রায়পুর থানার ওসি তদন্ত কার্তিক চন্দ্র দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই শিশুটির মা জানান, উপজেলার দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নে অসুস্থ স্বামী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে টিনশেড বাড়িতে বসবাস তাদের।
বুধবার সন্ধ্যার পর মেয়েটি দোকান গিয়ে খাবার কিনে বাসায় ফিরছিল।
পথিমধ্যে খাইয়ুম শিশুটিকে সুপারি বাগানে তুলে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে আঘাত করে খাইয়ুম পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ওই দিন রাত পর্যন্ত অসুস্থ স্বামীর জন্য ওষুধ আনতে স্থানীয় মিতালী বাজারে ছিলাম।
ওই শিশুর বাবা জানান, বাসায় ফিরে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে তারা রায়পুর থানাকে অবহিত করলে এসআই নাসিম পরিবারকে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী দেলোয়ারসহ তার লোকদের বাধার কারণে থানায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত খাইয়ুম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। তবে তার বাবা মো. ইব্রাহিম ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমার ছেলে ভুল করেছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকার কয়েকজন বৈঠকে মীমাংসা করে দিয়েছেন। আপনারাও মাফ করে দেন।
রায়পুরের হায়দরগঞ্জের ফাঁড়ির এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিপন বড়ুয়া বলেন, শনিবার ওই শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয়েছে। দরিদ্র শিশুর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত কাইয়ুমসহ ছয়জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে।