নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জানলেন তিনি মৃত!
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর প্রার্থী জানলেন তিনি মৃত। কারণ জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে মৃত দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ।
জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলায় পঞ্চম ধাপে এক নম্বর তালম ইউনিয়নে আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন। ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মো. আব্দুল লতিফ সরকার। গত ৯ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
১২ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় আব্দুল লতিফ সরকারের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। কারণ হিসেবে তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার রায় লিখিতভাবে জানান, ভোটার তালিকায় তার নাম নেই, অর্থাৎ তিনি মৃত।
যাচাই বাছাইকালে দেখা যায়, গত ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী প্রাপ্ত ভোটার তালিকায় মো. আব্দুল লতিফ সরকারের নাম লিপিবদ্ধ হয়নি। যা স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর ২৬(১) (ঘ) ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত আইনের ধারা ২৬(১) (ঘ) মোতাবেক মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হলো। অর্থাৎ এখন তিনি মৃত।
এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে যান ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুল লতিফ। অথচ তার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। পরে তিনি মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষ সিরাজগঞ্জ বরাবর। আগামী ১৮ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তির শেষ তারিখ রয়েছে।
এ বিষয়ে সদস্য প্রার্থী মো. আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, আমি জীবিত। প্রার্থী হয়ে জানলাম আমি মারা গেছি। এটা কী করে সম্ভব হয়। আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছি। সেখানে নিষ্পত্তি না হলে প্রয়োজনে আদালতে যাবো।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, আমরা বিধি মোতাবেক মো. আব্দুল লতিফ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আপিলে নিষ্পত্তি করবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, তার একটি আপিল আবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে শুনানি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
