মেসির সপ্তম ব্যালন ডি’অর জয়

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২৩, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

স্পোর্টস ডেস্কঃ

ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের দেওয়া গত বছরের সেরা খেলোয়াড়ের এ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে ফেবারিট ছিলেন পিএসজির আর্জেন্টাইন এ তারকা। রবার্ট লেফানডভস্কি এই পুরস্কার জয়ে ছিলেন মেসির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। লড়াইটা শুধু এই দুজনের মধ্যেই দেখেছেন বেশির ভাগ বিশ্লেষক।

শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে লেফানডভস্কিকে হারিয়ে নিজের সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যালন ডি’অর জয়ের রেকর্ডকে আরও এক ধাপ উঁচুতে নিয়ে গেলেন ৩৪ বছর বয়সী মেসি।

সংক্ষিপ্ত পাঁচজনের তালিকায় উঠে আসেন মেসি, লেফানডভস্কি, জর্জিনিও, করিম বেনজেমা ও এনগোলো কান্তে। এই পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পুরস্কারটি জিতলেন মেসি। দ্বিতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেফানডস্কিকে। ‍তৃতীয় চেলসির ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনিও।

বছরটা কেন স্বপ্নের মতো যায়নি, সেটিই বলে নেওয়া যাক। ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে বার্সেলোনার সঙ্গে। কাঁদতে কাঁদতে বিদায় বলেছেন প্রিয় ন্যু ক্যাম্পকে। মেসি কেঁদেছিলেন আরও একদিন। ১৪ জুলাই। ব্রাজিলের মারাকানায় যেদিন তাদেরই হারিয়ে জিতেছিলেন আরাধ্য আন্তর্জাতিক শিরোপা।

দেশকে ২৮ বছর পর এনে দিয়েছিলেন কোপা আমেরিকা শিরোপা। ওই টুর্নামেন্টে মাঠে ছিলেন ৬৩০ মিনিট। ৪ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরাও। ধুঁকতে থাকা বার্সেলোনাকেও জিতিয়েছিলেন কোপা দেলরে শিরোপা, লা লিগায় করেছিলেন তৃতীয়ও। ক্লাবটির হয়ে লা লিগাতেই করেছেন ৩০ গোল।

সবকিছুর স্বীকৃতি যেন মেসি পেলেন সোমবার রাতে। ফ্রান্সে এক বর্ণিল সন্ধ্যায় জিতলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ব্যালন ডি অর। পেছনে ফেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা রবার্ট লেভান্ডভস্কিকে। এবারের ব্যালন জিতে মেসি উঠে গেছেন চূড়ায়। আগে থেকেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার জেতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়ে একটি বেশি ব্যালন ডি অর ছিল তার।

এবার সংখ্যাটা করলেন দুই। সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি অর যে তার- এটি বোধ হয় বলাই বাহুল্য। এখনও খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যালন আছে কেবল একজনের, লুকা মদ্রিচ একবারই জিতেছিলেন ২০১৮ সালে।

আগের ছয়বার মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন-২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে। সবগুলোই বার্সেলোনায় থাকতে। এক বছর বিরতি দিয়ে আবারও জিতলেন এই ট্রফি। এখন তিনি পিএসজির।

আরও প্রায় এক দশক আগে বার্সেলোনার কিংবদন্তি ও কোচ ইয়োহেন ক্রুইফ বলে গিয়েছিলেন, ‘মেসি হয়তো ৫, ৬ বা ৭টি ব্যালন ডি অর জিতবে।’ এক দশক পর আর্জেন্টাইন তারকা সত্য করলেন তার কথাই।

১৯৫৬ সালে প্রথমবার দেওয়া হয় ব্যালন ডি অর। তখন কেবল ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে সেটি দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় খেলা ফুটবলারকে। সারা বিশ্বের ১৭০ জন ফুটবল সাংবাদিক বেছে নেন ব্যালন ডি অর জয়ীকে।

Share This Article


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হামলার হুমকি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি

আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ সিজার লুইস আর নেই

দ্বিতীয় টি-২০: জিম্বাবুয়েকে ১৩৮ রানে আটকে দিল বাংলাদেশ

আমি বিশাল ভুলের মাশুল গুনেছি: আমির

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সন্ধ্যায় মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে

বিশাল জয়ে মায়ামির প্রতিশোধ

তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

বাজারে ‘হালাল’ পানীয় আনছেন মেসি

বড় চমক রেখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ, যেমন হতে পারে টাইগারদের একাদশ

জিম্বাবুয়ে সিরিজ সহজ হবে না: শান্ত