বাসটির হেলপার ৩ দিন আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৪৯, রবিবার, ২৯ মে, ২০২২, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯


উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এলাকায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিহত ১০ জনের মধ্যে বাসটির হেলপার সেন্টু মোল্লা তিনদিন আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

 

রবিবার (২৯ মে) যমুনা লাইন পরিবহনের বাসটির চালক ঘুমিয়ে পড়লে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এতে। শিশু ও নারীসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছে।


উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আর্শাদ জানান, বাসটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ভাণ্ডারিয়া যাচ্ছিল। পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।  এতে ১০ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় মিলছে। তারা হলেন- ঝালকাঠি সদরের নেয়ড়ী এলাকার মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে আরাফাত হোসেন হাওলাদার (৯), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বাঁশকুড়া এলাকার কুদ্দুস আকনের ছেলে নজরুল ইসলাম আকন (৩৫), তার ভাই সাকিব, আকনের স্ত্রী তাজানাহার বেগম (২০) বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরবাদ এলাকার মোবারক আলী বেপারীর ছেলে হালিম মিয়া (৩১), বাসটির হেলপার ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার সুতারকান্দা এলাকার এলাকার মৃত আওলাদ আলী মোল্লার ছেলে সেন্টু মোল্লা (৫০), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দারকাঠি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে রমজান হাওলাদার (৩৮), বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মুণ্ডপাশা গ্রামের মনোরঞ্জন শীলের ছেলে মাধব শীল (৪৫) ও বরগুনার বামনা উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের মীরের হাওলা গ্রামের তাজেম আলী চৌকিদারের ছেলে রেজা।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

Share This Article