পরকীয়া সন্দেহেই স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেন স্বামী
![পরকীয়া সন্দেহেই স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেন স্বামী](/Uploads/Images/News/2022/5/Image-11244-20220523093133.jpeg)
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার বরিশুর এলাকায় পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মগোপনে থাকা স্বামী নুরুল ইসলামকে রোববার রাজধানীর কাকরাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১২ বছর আগে নিহত রেশমার সঙ্গে নুরুলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১০ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর অনুমতি নিয়ে রেশমা জর্ডান চলে যায়। সেখানে থাকাবস্থায় দুজনের মধ্যে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবাদ তৈরি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিন মাস আগে তাদের ডিভোর্স হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ২৮ এপ্রিল রেশমা দেশে ফিরে আসলে তালাক হওয়া সত্ত্বেও স্বামী নুরুল তাকে নিয়ে আবার সংসার করতে চায়। এ জন্য রেশমা ও তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিভিন্নভাবে আকুতি-মিনতি করতে থাকে নুরুল। সম্মতিক্রমে গত ১৫ মে থেকে আবারও সংসার শুরু করে তারা। নুরুল পেশায় বাবুর্চি। পাশাপাশি তার বোকরা তৈরির একটি কারখানা ছিল। মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকায় সেই কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
অধিনায়ক আরও বলেন, রেশমার সঙ্গে সংসার শুরুর দুদিনের মাথায় তার সঙ্গে কাতার প্রবাসী এক যুবকের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ হয় নুরুলের। আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নুরুল তার স্ত্রীকে ভাড়া বাসায় নিয়ে ধারালো চাকু দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সকালে এই দম্পতি তাদের ছেলে মো. ইয়াসিনকে মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে যায়। ফেরার পথে ইয়াসিনকে তার নানার বাসায় পাঠিয়ে দুজন মিলে পাসপোর্টের ফটোকপি করতে যায়। রেশমাকে হত্যার পর নুরুল তার শ্বশুরবাড়ি এসে জানায়, রেশমাকে সে তার ভাড়া করা মেসে আটকে রেখে এসেছে।