বিজয়ের দিনেও পরাধীন ছিলো যেসব এলাকা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ১১:৫৫, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
ফাইল  ফটো
ফাইল ফটো

বাংলাদেশের কথা ডেস্ক: বাঙালির নিজের রাষ্ট্র পাওয়ার সাধ পূর্ণ হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্র সমর্পণ করার পর পরই বাস্তবায়ন হয় স্বপ্নের বাংলাদেশের। পাক বাহিনীর সেনাপতি আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী তার সহযোগীদের নিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করলেও সেদিন স্বাধীন হয়নি গোটা বাংলাদেশ। রাজধানীরই একটি অঞ্চলসহ দেশের বেশ কিছু এলাকায় তখনও চলছিল যুদ্ধ।

পাকিস্তানি আত্মসমর্পণের পর এই যুদ্ধ চালিয়ে যায় দখলদার বাহিনীর দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস আর বিহারিরা। প্রভু নতি স্বীকার করলেও তারা তখনও পাকিস্তান রক্ষার চেষ্টায় চালিয়ে গেছে বাঙালি নিধন। কোনো কোনো জেলায় অবশ্য সক্রিয় ছিল পাকিস্তানি সেনারাও।

১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের পর দিন স্বাধীন হয় চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ। আর ঢাকার পতনের পরেও উত্তরাঞ্চলে পাকিস্তানিরা প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রাখে। তবে ১৮ ডিসেম্বর বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, নাটোর ও নওগাঁর পতন ঘটে ও পাকিস্তানিরা আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

কিশোরগঞ্জ থেকে পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে এসেছিল আগেই। কিন্তু তাদের এ দেশীয় দোসররা মুক্তিবাহিনীর জয়যাত্রা ঠেকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছিল। তবে ১৭ ডিসেম্বর সকালে একটি খোলা জিপে করে মুক্তিযোদ্ধার দল শহরে ঢোকে। ওই দিন দিশেহারা রাজাকাররা শহরের ইসলামীয়া ছাত্রাবাস মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

১৬ ডিসেম্বরের ছয় দিন পর স্বাধীন হয় বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দীর্ঘ ২৮ দিন ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করে ২২ ডিসেম্বর শতাধিক পাক সেনা আর তাদের দালালরা আত্মসমর্পণ করে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্ব চলছিলো তখন মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরের মিরপুরের বিহারী আর রাজাকাররা কোনভাবেই আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়নি। সেখানে প্রধানত বিহারিরা অস্ত্রবাজি চালাতে থাকে পরের মাস জানুয়ারির পুরোটা জুড়েই। অবশেষে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভিযান চালায় মিরপুরে। অস্ত্রধারীরা এরপর আর সাহস দেখায়নি।

সূত্র: ঢাকা টাইমস, এনটিভি, যুগান্তর ও উইকিপিডিয়া

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


‘রাতেই বাসা-বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হতে পারে’

‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে’

চার দফা না মানলে আট দফা নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

ইউনূসের বিবৃতি রাষ্ট্রবিরোধী

তালিকা হচ্ছে গা-ঢাকা দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের

আত্মগোপনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা

কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার আনা এখন সময়ের দাবি: আরেফিন সিদ্দিক

আন্দোলনকারীদের থেকে ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের নিজগৃহে অবস্থানের অনুরোধ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

‘কোটা সংস্কার নিয়ে প্রয়োজনে সংসদে আইন পাস হতে পারে’

মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ