ডলারের দাম নিয়ে কারসাজি!
![ডলারের দাম নিয়ে কারসাজি! ফাইল ফটো](/Uploads/Images/News/2022/5/Image-11063-20220520040559.jpeg)
কারসাজি করে তেলের দাম বৃদ্ধি করার মতো দেশের বাজারে ডলারেরও কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। কিছু মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান, অসৎ ব্যবসায়ী ও কয়েকটি ব্যাংক এর সাথে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকের লেনদেনের প্রতি পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নজরদারির ফলও মিলেছে। মাত্র একদিনের মাথায় খোলা বাজারে ডলারের মূল্য কমেছে ৫ টাকা।
জানা যায়, ডলারের বিপরিতে টাকার মূল্য কমে যাওয়ার ফলে কিছু ব্যাংক এর সুযোগ নিচ্ছে। ডলারের বিপরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত টাকার দর ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ, ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে ডলারে দর রাখছে ৯৩-৯৪ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ডলারে ব্যাংকগুলোর মুনাফা হচ্ছে ৫-৬ টাকা। খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৭-৯৮ টাকায়। এখানে মুনাফা করছে ৯-১০ টাকা। এজন্য এ খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে স্থায়ী এবং কার্যকর সমাধানের জন্য নীতির জায়গাটা আগে ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, টাকার দরপতন ঠেকাতে বিলাসী পণ্যের আমদানি কিছুদিন বন্ধ রাখা, গাড়ি আমদানির প্রতি নিয়ন্ত্রণ আরোপ ও আমদানি পণ্যের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বেশি দরে ডলার বিক্রি করতে না পারে সে দিকে নজারদারি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় জোগানের ঘাটতি হওয়ায় ডলারের দাম বেড়েছে। কিন্তু এ সংকট আরও বেশি ঘনীভূত করা এবং কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে বাজারে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী, কয়েকটি মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত শুরু করেছে।
ডলারের দাম প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে যাওয়ার সময় কিছু ডলার সঙ্গে নিতে হয়। ওইসব ব্যক্তিরা সহজে খোলা বাজার থেকে ডলার কেনেন। এখন সেখানে চাহিদা বেশি। এই সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডলারের দাম বেশি নিয়ে অতি মুনাফা করছে। আর আমদানির ক্ষেত্রে যেসব ব্যাংক বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে, তাদের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখছে। কোনো অনিয়ম পালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।