‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ঘটানো হয়েছিল চীনের সেই বিমান দুর্ঘটনা!
![‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ঘটানো হয়েছিল চীনের সেই বিমান দুর্ঘটনা!](/Uploads/Images/News/2022/5/Image-10989-20220518093035.jpeg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের সেই যাত্রীবাহী বিমানটি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ মাটিতে আছড়ে ফেলে বিধ্বস্ত করানো হয়েছিল। দুর্ঘটনার প্রায় দুই মাস পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। ভয়ঙ্কর সেই বিমান দুর্ঘটনায় মোট আরোহীর ১৩২ জনই নিহত হয়েছিলেন। আজ বুধবার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ করে সুচিন্তিতভাবে মাটিতে বিমান আছড়ে ফেলার তথ্য মিলেছে। তদন্তে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে জানেন এমন দুজনের বরাত দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে গণমাধ্যমটি।
চলতি বছরের ২১ মার্চ মাঝ আকাশ থেকে হঠাৎ নিচে আছড়ে পড়েছিল চীনের ওই যাত্রীবাহী বিমান। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় রক্ষা পাননি কোনো আরোহীই। গভীর জঙ্গলে প্রায় সপ্তাহখানেক খোঁজ চালানোর পর উদ্ধার করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই জানানো হয়, মার্চ মাসে বিমানটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে মাটির দিকে নাক বরাবর নামিয়ে আনা হয়েছিল, যে কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্য্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- কোনো দুর্ঘটনা বা নিয়ন্ত্রণহীনতা নয়, ককপিট থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানটিকে প্রবল গতিতে মাটির দিকে নামিয়ে আনা হয়েছিল।
ককপিট থেকেই কারও নির্দেশে বিমানটি পরিচালনা করা হচ্ছিল বলে দাবি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের। ওই বিমানটি ছিল মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি। তাই ‘দুর্ঘটনা’র তদন্তে নেমে ব্ল্যাক বক্স খতিয়ে দেখে তারা।
এর আগে চীনের পক্ষ থেকে এই ‘দুর্ঘটনা’র একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, বিধ্বস্ত ওই বিমানে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। আর এরপরই নাশকতার তত্ত্ব আরও জোরালো হয়।
চীনের কুনমিং থেকে গুয়াংঝুতে যাচ্ছিল বোয়িং ৭৩৭ মডেলের বিমানটি। মাঝ পথে গুয়াঙশি এলাকায় এলাকায় সেটি ‘দুর্ঘটনার’ কবলে পড়ে। তখন দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার কারণ দ্রুত বের করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।