আরও ১০ দিনের রিমান্ডে পি কে হালদার

মঙ্গলবার (১৭ মে) পিকে হালদারসহ সহযোগীদের আদালতে তোলার পর ফের ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার কলকাতার একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইডি কার্যালয় নেওয়া। এদিন পি কে হালদারসহ বাকি পাঁচজনেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পি কে হালদার সেখানকার স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তা নিয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভারতের ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)।
পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকাণ্ডে আলোচিত পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে।
জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর আগে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা শেষে ইডি কার্যালয়ে ফেরার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন পি কে হালদার। এ সময় তিনি দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে শনিবার দুপুর থেকে দফায় দফায় জেরার মুখে পড়েন অশোকনগর থেকে গ্রেফতার হওয়া পিকে হালদার এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে শনিবার (১৪ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের পাশাপাশি তার স্ত্রী ও ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের গ্রেফতার করে ভারতের অর্থসংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থা ইডি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
এর আগে পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আত্মীয়স্বজনের নামে আরও বেশ কয়েকটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছে ইডি। আর ১৩ মের দিনেই (শুক্রবার) গ্রেফতার করা হয় তার ভাগনে প্রাণেশ হালদারকে।