বরিশালে আরও এক আসপিয়া!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১৩, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশালের পর এবার আরেক আসপিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে বরগুনার বেতাগীতে। পরিবার ভূমিহীন হওয়ায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) সাধারণ পদে উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি হওয়ার অনিশ্চয়তা 'সজল চন্দ্র কর্মকার অন্তরের'। এতে হতাশ তার পরিবার ও স্বজনরা। সারা দেশে এ নিয়ে এমন ঘটনা তিনটি। বরিশালের আসপিয়া খুলনার মীম ও বরগুনার সজল চন্দ্র কর্মকার অন্তর।

বরগুনায় পুলিশে চাকরি প্রার্থী 'সজল চন্দ্র কর্মকার অন্তর' তথ্য গোপন করায় চাকরি হয়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে নিজেকে ভূমিহীন বলে দাবি করেছেন সজলের পিতা অমল চন্দ্র কর্মকার। তবে সর্বশেষ ভূমিহীন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। চাকরি হওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে পরিবারটি।

পুলিশ ও সজলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদন করে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামে বসবাসরত সজল চন্দ্র কর্মকার অন্তর। গত ১৪ নভেম্বর বরগুনা পুলিশ পুলিশ লাইন্সে শারীরিক যোগ্যতা যাচাই হয়। সেখানে উত্তীর্ণ হয় সজল। এরপর ১৭ ও ২৪ নভেম্বর তারিখে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষাতেও পাশ করে সজল।

চাকরি প্রার্থী সজল বলেন, সবকিছুতে পাশ করার পরও আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বরগুনা জেলা পুলিশ লাইন্সে ২৫ নভেম্বর সাধারণ মেডিকেল পরীক্ষা ও ফিঙ্গার প্রিন্টের পর ৪ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালেও আমার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হয়। বেতাগী থানা ও ডিএসবি থেকে আমার ভাড়াবাড়িতে তদন্তে আসে। তাদের কাছে ভূমিহীন সার্টিফিকেট জমা দিয়েছি।

সজল বলেন, যারা ফিঙ্গার দিয়ে এসেছিল তাদের ফোন দিয়ে চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রোববার বরগুনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশ সুপার স্যারকে পাইনি। অনেকক্ষণ পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম স্যার এসে জানান- তোমার সব ঠিক থাকলেও স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় তোমার চাকরিটা আমরা দিতে পারছি না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে দেখো কিছু করতে পার কিনা।

চাকরির বিষয় নিয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম হোসেন বলেন, সজলের পৈতৃক বাড়ি পটুয়াখালীর লাউকাঠি গ্রামে। তারা বরগুনার বেতাগীতে থাকে। অথচ আবেদন ফরমে তারা সে তথ্য দেয়নি। সে পটুয়াখালী থেকে আবেদন করতে পারত কিন্তু তা সে করেনি। এদিকে সজলের বাবা অমল কর্মকার জানান, তাদের পরিবারের সবার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা বরগুনার বেতাগীতে। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সবকিছুই বেতাগীতে তাই এখান থেকেই আবেদন করেছেন।

তবে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, সজল সব দিক দিয়েই পারফেক্ট। মেধা তালিকায় চতুর্থ হয়েছে। পুলিশে নিয়োগ পেতে হলে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হয়। শুধু জন্মসনদ বা এনআইডি এখানে থাকলেই হবে না। তার স্থায়ী ঠিকানা লাগবে। সেটি সজলের নেই। পটুয়াখালীতে তার চাচা ও বাবার কিছুটা জমি রয়েছে। সে যদি পটুয়াখালী জেলা থেকে আবেদন করত তবে সেটি ঠিক ছিল।

বরগুনা পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক বলেন, স্থায়ীভাবে জমি না থাকার কারণে আমরা কিছু করতে পারছি না।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই শুনলাম। যেহেতু সজল চাকরি পেয়েছেন জমি না থাকার বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখবে বলে আশ্বস্ত করছি।

সজলের বাবা অমল কর্মকার বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে বরগুনায় বসবাস করছি। ছেলেমেয়ের জন্মও বরগুনায়। পটুয়াখালী জেলার লাউকাঠি গ্রামে বাবার নামে পৈতৃক ভিটে রয়েছে তবে সেখানে আমার নামে আধা শতাংশ পরিমাণ জমি থাকতে পারে। আমার নামে কোথাও কোনো জমি নেই। পুলিশি তদন্তের সময় আমরা সেটা জানিয়েছি। শুধু জমি না থাকার কারণে আমার ছেলেটার চাকরি হচ্ছে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন আসপিয়ার মতো আমার ছেলেটার দিকেও তাকায়।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


কক্সবাজারে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

হাসপাতালে বেড়েছে গরমের রোগী

সাঁতার শিখতে গিয়ে পদ্মায় প্রাণ গেল ২ জনের

চট্টগ্রামে ভূমিকম্প, মাত্রা ৩ দশমিক ৭

নারায়ণগঞ্জে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত, আহত মা

চুয়াডাঙ্গাকে ছাড়িয়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই: ইসি আলমগীর

পছন্দের মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

নাফ নদ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকল মিয়ানমারের ১৩ বিজিপি সদস্য

দাবদাহে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর চাপ

সিলেটে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে

চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি