বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী: পুরো বিশ্ব শাসন করবে পুতিন!
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এলো বিশ্বখ্যাত ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎবাণী।
আমেরিকায় আল-কায়দার ৯/১১ হামলাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপযর্য়ের বিষয়ে একেবারে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এই বাবা ভাঙ্গা।
২০০০ সালে সারাবিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। ওই বছরই ভ্যারেন্স সাগরে ডুবে গিয়েছিল রুশ নৌ সেনার সবচেয়ে বড় সাবমেরিন ক্রুজ, মৃত্যৃ হয়েছিল ১১৮ নৌ সেনা সদস্যের।
দশ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাওয়া পরমাণু শক্তিচালিত এই সাবমেরিনটি যে ডুবে যাবে তার ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। সেই পূর্ব কথন মিলে যাওয়ার পরই লাইম লাইটে এসেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। মিলে গিয়েছিল ভবিষ্যদ্বাণীর ৮৫ শতাংশই।
একদিকে যেমন বাবা ভাঙ্গা প্রাকৃতিক দুযোগের পূর্বাভাস দিয়েছেন,পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন শক্তির মধ্যে সংঘর্ষ সম্পর্কেও সতর্ক করেছিলেন।
সম্প্রতি জানা গেছে, আজ থেকে ২৩ বছর আগে বুলগেরীয় এই ভবিশ্যৎদ্রষ্টা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কেও।
আইরিশ মিররের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৮৯ সালে লেখক ভেলনটিন সিডরভোকে পুতিন সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন বাবা ভাঙ্গা।
তিনি বলেছিলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের পতাকা সারাবিশ্বে উড়বে। পুতিনের তত্ত্বাবধানে সারাবিশ্ব শাসন করবে রাশিয়া। গোটা ইউরোপ বর্জ্যভূমিতে পরিণত হবে। আর ইউরোপকে দুর্বল করে দেয়ার পর সারাবিশ্ব শাসন করবে রাশিয়া। রাশিয়ার সামনে কেউ দাঁড়াতে পারবে না।
ইউক্রেনে রুশ হামলারও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এই বুলগেরীয় অন্ধ ভবিশ্যৎদ্রষ্টা বৃদ্ধা। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়াকে কেউ আটকাতে পারবে না। যারা রুশ আগ্রাসনের পথে দাঁড়াবে সেই সমস্ত শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে মস্কো। এমন একটা সময় আসবে যখন রাশিয়াই বিশ্বের প্রভূ হয়ে উঠবে। রাশিয়া হবে বিশ্বের একমাত্র বড় শক্তি। ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তার ভবিষ্যদ্বাণীর অন্তত ৬৮ শতাংশ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তবে তার ভক্তদের দাবি সংখ্যাটি ৮৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য ১৯১১ সালে জন্মেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। ১২ বছর বয়সে ঝড়ের কবলে পড়ে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। তবে সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছিল তার ভবিষ্যৎ দেখার চোখ। ১৯৯৬ সালে তার মৃত্যু হয়। শোনা যায় নিজের মৃত্যুরও একেবারে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।
সমগ্র বিশ্বে তার লক্ষ লক্ষ অনুসারি রয়েছে। তারা বিশ্বাস করেন বাবা ভাঙ্গা টেলিপ্যাথিসহ একাধিক অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা ছিল। কেউ কেউ দাবি করেন তিনি ভিনগ্রহীদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারতেন।
মজার বিষয় হলো তার এসব ভবিষ্যদ্বাণীর কোনোটিই কোথাও লেখা নেই। তিনি তার ভক্তদেরকে ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর কথা বলে গিয়েছিলেন।
