বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা : বাণিজ্যমন্ত্রী
![বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা : বাণিজ্যমন্ত্রী](/Uploads/Images/News/2022/5/Image-10503-20220509111848.jpeg)
ভোজ্যতেল নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের কথা রাখেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছিলাম দাম সহনীয় পর্যায় রাখতে। কিন্তু ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা আমার অনুরোধ রাখেননি। তাদের অনুরোধ করা আমার বড় ভুল হয়েছে। ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
সোমবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা কি না জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের ব্যর্থতা ঠিক, কারণ বলেছিলাম রমজানকে সামনে রেখে দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তারা ঈদের সাতদিন সেই কথা রাখেননি। আমাদের সব অর্গানাইজেশনকে বলেছি, যে দাম নির্ধারিত আছে সেটি যাতে ঠিক রাখা হয়।
তেলের সিন্ডিকেটের কোনো নমুনা পাইনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রিটেইলার, ডিলাররা সুযোগটা নিয়েছে। আমরা চেষ্টা করব রিটেইলার থেকে ডিলার পর্যায়ে কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে। লাখ লাখ ডিলারের সিন্ডিকেট করার সুযোগ নেই।
ঈদের আগে বাজারে সয়াবিন তেল না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ৬ ফেব্রুয়ারি দাম ঠিক করেছিলাম। আমাদের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরে যে দামে মাল ছাড় হয় সেই অনুযায়ী দামটি নির্ধারণ হয়। ২০ মার্চ আমরা অনুরোধ করায় সরকার ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করায়, তখন আট টাকা দাম কমানো হয়। তখন আমরা রমজান মাসে তেলের দাম না বাড়াতে অনুরোধ করেছিলাম, তারা একমত হয়েছিলো। মানুষের কথা বিবেচনা করে দাম না বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলাম। তাদের বলা হয়েছিলো রমজানের পর বসব। যারা বড় প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক তথ্য নিয়েছি। কিন্তু পথে ঝামেলা হয়েছে। রিটেইলার ও ডিলার কিন্তু জানত রমজানের পর বেড়ে দাম ফিক্সআপ হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঈদের কয়দিন আগে থেকে অনেকে তেল ধরে রাখল। কারচুপিটা এখানে হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যেন এগুলো না হয় সেটি দেখতে হবে। আমার মনে হচ্ছে তাদের অনুরোধ করা ঠিক হয়নি যে রমজানে তেলের দাম না বাড়ানোর কথাটি বলা, কারণ তাদের যদি একটি দাম বৃদ্ধি করে দিতাম তাহলে এটি হতো না। ভারতে তেলের দাম কতো? তাদের দামও ১০-১২ টাকা বেশি আছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটর করব। ব্যবসায়ীদের চাপ দিতে চাই না। মানুষের ক্রাইসিস হলে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। তবে মাঝে অনেকে সুযোগ নিয়েছে, কারণ তারা জানে ঈদের পর দাম বাড়বে। সেজন্য তারা মজুদ করে রেখেছিলো। রিটেইলার অপরাধ করলে সংগঠনেরও ব্যবস্থা নিতে হবে।
তেলের দাম পরবর্তীতে সমন্বয় কবে হবে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আমরা আগে এক দেড় মাসের মধ্যে বসতাম। যখন তেলের দাম কমানোর সুযোগ থাকবে তখন আমরা আবার বসব।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, কেউ বলছে না গ্লোবাল মার্কেটে তেলের দাম কতোটা বেড়েছে। দাম বেড়েছে সেটা সত্য, সাধারণ মানুষের কস্ট হচ্ছে সেটাও সত্য। কিন্তু কারণটা জানালে মানুষ বুঝতে পারে। তেলের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ বাইরের প্রতি ডিপেন্ডেন্ড থাকতে হয়।