কুমিল্লায় গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

কুমিল্লায় বাবার কাছে পাওনা ৪৫০ টাকার জন্য ঈদুল ফিতরের দিন কিশোর ছেলেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় বুড়িচং থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার ছেলের বাবা। এ ঘটনায় শুক্রবার (৬ মে) রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুড়িচং থানার ওসি মাকছুদ আলম শনিবার এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতনের শিকার সাহেদ হোসেন শান্ত উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ভৈরবপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে।
গত মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদের দিন বিকেলে ভৈরবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কিশোরকে নির্যাতনের ছবি শুক্রবার থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, একই গ্রামের নাহিদুল ইসলাম, মো. নাজমুল হোসেন ও জসিম উদ্দিন।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তারা সবাই ওই কিশোরের বাবার দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন আগে শান্ত’র বাবা ইউসুফ মিয়া একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাহিদুলের কাছ থেকে একটি খাট ক্রয় করেন। এতে ৪৫০ টাকা বকেয়া ছিল। ঈদের কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ী নাহিদুল তাদের বাড়ি গিয়ে বকেয়া টাকার জন্য গালমন্দ করে। এতে ইউসুফ মিয়া সপ্তাহ খানেক পরে টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ইউসুফ মিয়া জানান, ঈদের দিন তার ছেলে শান্ত বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। এ সময় ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাহিদুল, তার ভাই নাজমুল ও সঙ্গে থাকা আনোয়ার ও জসিম শান্তকে তার বন্ধুদের সামনে থেকে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে টানা-হেঁচড়া করে নাজমুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন মারধরের ভিডিও ও ছবি তুলে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশ সেখান থেকে শান্তকে উদ্ধার করে।
বুড়িচং থানার ওসি মাকছুদ আলম জানান, ঈদের দিন এই ঘটনা ঘটলেও ঐ কিশোরের বাবা শুক্রবার রাতে নির্যাতনের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।