কার্পেটিং শেষ হয়েছে পদ্মা সেতুর

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৫৯, শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ১৭ বৈশাখ ১৪২৮
ফাইল  ফটো
ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাকি আর মাত্র দুই শতাংশ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুর কার্পেটিং শুক্রবার শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের রাত সোয়া ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চার লেয়ারের ওয়াটার প্রুভিংয়ের ওপরে দুই লেয়ারে ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বের এই কার্পেটিং শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু আগামী জুনে খুলে দিতে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।

তিনি জানান, সেতুর ৪২ নম্বর খুঁটির মুভমেন্ট জয়েন্টের উজানের প্রান্তের গ্যাপে কার্পেটিংয়ের চূড়ান্ত লেয়ার সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে এই কার্পেটিং সম্পন্ন হয়েছে। এই কার্পেটিং শনিবার শেষ হওয়ার টার্গেট থাকলেও কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের পরেই সেতুর দুই প্রান্তের কার্পেটিংয়ের বাকি অংশের কাজ শুরু হবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুর ভায়াডাক্টের অংশে কার্পেটিং অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশের কাজ দুই সপ্তাইে সম্পন্ন হবে। কার্পেটিং কর্মীরা ঈদের ছুটি পেয়েছেন ৫ মে পর্যন্ত। ৭ মে থেকে শুরু হবে সেতুর ভায়াডাক্ট তথা সংযোগ সেতুর কার্পেটিং। ২০ মে এই অংশের কার্পেটিংও সম্পন্ন হবে। ভায়াডাক্টের অংশে একটি লেয়ারে কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ৫০ মিলিমিটার। সংযোগ সেতু ঢালু হওয়ায় পানি জমার সুযোগ না থাকায় ওয়াটার প্রুভিং লেয়ার নেই। দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা সেতুটির স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিন ধার্য করেছেন ২৫ জুন। তাই ২৫ জুন টার্গেট রেখেইে চলছে শেষ পর্যায়ের কর্মযজ্ঞ। সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, শেষ পর্যায়ের কর্মযজ্ঞ চলছে এখন সফলভাবে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৯৪ দশমিক ১৫ ভাগ। মূল সেতু কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ৪শ’ ৯৩ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৭শ’ ৬৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা।

নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯২ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বিশ্ব রেকর্ডের নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৯শ’ ৭২ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৪শ’ ৯৯ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা।

সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার বাস্তব কাজের অগ্রগতি ১০০ ভাগ। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৪৯৯ দশমিক ৫১ কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৪২ দশমিক ২৬ এবং ১ হাজার ৪০০ টাকা মোট ৪ হাজার ৩৪২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা। পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৮৮৫ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা। এই খাত ছাড়াও সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়ার, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে মোট ব্যয় ১০ হাজার ৯২৯ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা। সেতুর ওয়াটার প্রুভিং মেমব্রেন শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ল্যাম্পপোস্টও শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া গ্যাস পাইপ লাইন ৯৯ শতাংশ এবং ৪০০ কেভি টিএল বিদ্যুত লাইনের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী জুনে সেতুটি যানবাহন চালু করার লক্ষ্যে সকল কাজ এগিয়ে চলছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এই পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৩৪০ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা (৯০ দশমিক ৫৫ শতাংশ) প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৯৩ শতাংশ।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


‘রাতেই বাসা-বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হতে পারে’

‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে’

চার দফা না মানলে আট দফা নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

ইউনূসের বিবৃতি রাষ্ট্রবিরোধী

তালিকা হচ্ছে গা-ঢাকা দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের

আত্মগোপনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা

কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার আনা এখন সময়ের দাবি: আরেফিন সিদ্দিক

আন্দোলনকারীদের থেকে ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের নিজগৃহে অবস্থানের অনুরোধ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

‘কোটা সংস্কার নিয়ে প্রয়োজনে সংসদে আইন পাস হতে পারে’

মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ