শিমুলিয়া ঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি

ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি বেড়েই চলেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।
তবে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দির সঙ্গে এবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু থাকায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বেড়েছে গতি। ফলে রাতের বেলাতেও আর অপেক্ষা করতে হচ্ছে না যাত্রীদের।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। পাশাপাশি লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটেও যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
কর্মস্থল ছুটি হবার কারণে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে অন্যান্য সময়ের চাইতে কয়েকগুণ বেশি। প্রায় এক সপ্তাহের ছুটিতে সবাই ফিরছে নিজ নিজ বাড়িতে। করোনার কারণে দুই বছর বাড়ি ফেরার সুযোগ কম থাকায় এবার বেশি পরিমাণে মানুষ বাড়ি ফিরছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে চাপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটে পার্কিং ইয়ার্ডে ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি। পিকআপ-মিনি ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে ২ শতাধিক যানবাহন। পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি দিয়ে এসব ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের ক্রমাগত আগমন অব্যাহত রয়েছে। যাত্রীদের উপস্থিতি কয়েকগুণ বেড়েছে ।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, দুই নৌরুটে ২টি মিনি রোরো, ২টি ডাম্প ও ২টি কে টাইপসহ ১০টি ফেরি সচল রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান জানান, এ নৌপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত