ভারত-বাংলাদেশ কানেকটিভিটি বাড়ানোর তাগিদ
![ভারত-বাংলাদেশ কানেকটিভিটি বাড়ানোর তাগিদ](/Uploads/Images/News/2022/4/Image-10252-20220428134829.jpeg)
বাংলাদেশ সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ৷ তিনি জানান বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
কানেকটিভিটি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন রুট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।’
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের পারস্পরিক সফরের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে।
প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বন্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
কোভিড মহামারি বিষয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতেই এর একটি প্রভাব পড়েছে। তবে সময়মতো পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেক ভালো এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এ বিষয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারতেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং পর্যটকরাও দেশটিতে আসছেন।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটা প্রভাব পড়ছে। তবে এ বছর ভারতে খুব ভালো গম উৎপাদন হয়েছে বলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।