বাংলাদেশে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা কম

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:১৮, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১৫ বৈশাখ ১৪২৮
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

প্রতিবেশী দেশ ভারত, চীনসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ আসলেও বাংলাদেশে এই ঢেউ আসার আশঙ্কা খুবই কম। যদি নতুন করে আসে তাও ছোট পরিসরে হতে পারে বলে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলি কায়ডোস।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান আমেরিকান সেন্টারে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউএস সিডিসির পার্টনারশিপ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে নিলি কায়ডোস বলেন, একটি মহামারি নিয়ন্ত্রণে থাকার অর্থ এই নয় যে আমরা অন্য মহামারি থেকে নিরাপদ। ভাইরাসের একক বাহক থেকে নতুন আরেকটি মহামারি শুরু হতে পারে। তাই আমাদেরকে এমন কোনো ঘটনা শনাক্ত করা, প্রতিরোধ করা এবং মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আগামীতে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন জনস্বাস্থ্য বিষয়ে আমাদের অর্জনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে এবং সংক্রামক রোগের বিস্তার প্রতিরোধে বাংলাদেশের সামর্থ্য জোরদার করা অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জনবল তৈরি অব্যাহত রাখতে হবে, নতুন ও উদীয়মান জীবাণু শনাক্ত করতে পরীক্ষাগার ও নজরদারি ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে।

বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার জনিত সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে উল্লেখ করে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নিলি কায়ডোস বলেন, এটি কোভিড-১৯ এর মতো মহামারির তুলনায় অনেক ধীরগতিতে বিকশিত হওয়া একটি মহামারি। তবে এটি কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অ্যান্টিবায়োটিক এক ধরনের হুমকি, যা বোঝা দরকার এবং মানুষ, প্রাণিসম্পদ ও পরিবেশে একে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার; তাই এই বিষয়টি অনেক জটিল। এটি বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকারমূলক একটি বিষয়।

বাংলাদেশের সঙ্গে সিডিসি-র দীর্ঘ কাজের ইতিহাস সফলতার ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো যৌথ প্রকল্প বাংলাদেশি জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখার পাশাপাশি বিশ্বের বাকি মানুষের জীবনকেও প্রভাবিত করেছে।

Share This Article