অকারণেই নিষিদ্ধ ছিলো ৫০০ সিসির মোটরবাইক!

বর্তমানে ১৬৫ সিসি সক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানি, উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমোদন রয়েছে। এর বেশি সব ধরনের মোটরসাইকেল আমদানি নিষিদ্ধ। তবে শুধুমাত্র পুলিশ ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতার বাইক ব্যবহার করতে পারতো।
এখন থেকে দেশেই ৫০০ সিসি (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরবাইক উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারবে স্থানীয় প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তারা।
রোববার ২৪ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেওয়া নতুন আমদানি নীতি আদেশের পর মোটরসাইকেলের যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা যাবে, সংযোজন করা যাবে, বাজারজাতও করা যাবে।
আদেশে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারবে।
বর্তমানে ১৬৫ সিসি সক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানি, উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমোদন রয়েছে। এর বেশি সব ধরনের মোটরসাইকেল আমদানি নিষিদ্ধ। তবে শুধুমাত্র পুলিশ ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতার বাইক ব্যবহার করতে পারতো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০০ বা ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ যে গতি তোলা সম্ভব, ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলেও একই গতি তোলা যায়। তাই বিশ্বের কোথাও এমন সিসিসীমা নেই।
নতুন এই আদেশের ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংস্লিষ্টরা।
যানজট বেড়ে যাওয়ায় ও রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় মোটরসাইকেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিক্রিও বাড়ছে। দেশে ২০১৮ সালে ৪ লাখ ৮৭ হাজার এবং ২০১৯ সালে ৫ লাখ ৪৯ হাজার মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৫২টি বাইক চলমান রয়েছে।