বছর শেষেও রিজার্ভ নিয়ে নেই কোনো অস্বস্তি!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৪১, বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
  • বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার
  • প্রায় চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব 
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের যুগপৎ পদক্ষেপে শীর্ঘই মূল্যস্ফীতির উন্নতি
  • বছর শেষেও রিজার্ভ নিয়ে কোনো অশ্বস্তি নেই বাংলাদেশের

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান মজুত প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি,  দিয়ে প্রায় চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানা গেছে, কেননা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ’র মানদণ্ড অনুযায়ী তিন মাসের আমদানির ব্যয়ের রিজার্ভ থাকাই যথেষ্ট, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী যে কোনো দেশের অর্থনীতির জন্য স্বস্তিদায়ক।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সময়োপযোগী ও কার্যকর নীতির কারণে বর্তমানে বিদ্যমান মুদ্রা বিনিময় হার কার্যকর বিনিময় হার সূচকের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ রয়েছে।

তবে আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি সুদহার আর না বাড়ায় কিংবা হ্রাস করে তাহলে বাংলাদেশের বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা আরো সহজ হবে। 

অন্যদিকে সরকার অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠির ওপর মূল্যস্ফীতির অভিঘাত নিরসনে ফ্যামিলি কার্ড ও ট্রাক সেলের মতো সামাজিক নিরাপত্তার আওতাও বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের যুগপৎ পদক্ষেপে শীর্ঘই মূল্যস্ফীতির উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ফলে বছর শেষেও রিজার্ভ নিয়ে কোনো অশ্বস্তি নেই সরকার। কেননা অর্থবছরের শেষ নাগাদ ঘুরে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি।

২১ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Share This Article