ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ইকুয়েডরে গণ অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে পশ্চিমাঞ্চলীয় তিনটি প্রদেশে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো এ কথা জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গুইলারমো লাসো টুইটার পোস্টে লিখেছেন, শান্তি ও শৃঙ্খলা আনার জন্য গুয়াস, মানাবি ও এসমেরালদাস অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং সেনা ও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই তিন প্রদেশে ৪ হাজার পুলিশ ও ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
কারফিউ স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে ওই পোস্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, আমাদের শান্তি-শৃঙ্খলা কখনোই অপরাধীদের হাতে ছেড়ে দেব না।
ইকুয়েডরে সম্প্রতি খুন ও অন্যান্য গণ-অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর গুইলারমো লাসো দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করছেন। এর আগে গত অক্টোবরে দেশব্যাপী ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন গুইলারমো লাসো।
দেশটিতে অপরাধ বেড়ে যাওয়ার পেছনে মাদক পাচারকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট লাসো। ইকুয়েডর প্রতিবেশী দেশ পেরু ও কলম্বিয়া থেকে পাচার করা কোকেনের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া মেক্সিকোর মাদক ব্যবসায়ীরা স্থানীয় অপরাধী চক্রের মাধ্যমে কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি অপরাধ ঘটে গুয়াস প্রদেশে। এই প্রদেশের গুয়াকিল শহরটি ইনসাইট ক্রাইমের তালিকায় বিশ্বের ৫০তম সহিংস শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতামূলক এই ওয়েবসাইট বলেছে, ২০২১ সালে ইকুয়েডরে খুনখারাবির হার লাতিন আমেরিকার যেকোনো দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।