ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার শক্তি দেখানো শুরু!

রাশিয়ার জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশ দুটি মস্কোর বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেল’ করার অভিযোগ তুলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিরিল পেটকভ।
পেটকভ বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধে নেওয়া গ্যাজপ্রমের পদক্ষেপকে ‘চলতি চুক্তির মারাত্মক লঙ্ঘন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এক টুইটে তিনি লেখেন, তিনি এ পরিস্থিতি নিয়ে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছেন। দেশটির বুলগেরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে।
‘বুলগেরিয়া ও গ্রিস জ্বালানি নিরাপত্তা ও বৈচিত্র্য নিয়ে একসঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে’, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি ‘কৌশলগতভাবে দুই দেশ ও এ অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’।
রাশিয়া কেন বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডকে লক্ষ্য বানাল?
বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডকে কেন রাশিয়া লক্ষ্য বানিয়েছে তা এখনও সরাসরি বলেনি।
তবে জানা গেছে, দেশ দুটি রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ দুটি দেশ ছাড়াও ইউরোপের অন্য অনেক দেশ রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধে রাজি হয়নি। রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধে রাজি হয়েছে শুধু হাঙ্গেরি।
ইউক্রেনের সঙ্গে পোল্যান্ডের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এ ছাড়া দেশটি কিয়েভকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই। এর বাইরে দেশটি রাশিয়ার ৫০ ধনকুবের ও কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; এ তালিকায় রয়েছে গ্যাজপ্রমও।
অপরদিকে বুলগেরিয়া মস্কোর একসময়কার ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে, দেশটি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার সমর্থনে ভোট দিয়েছে। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে বুলগেরিয়ার দ্বিধা থাকলেও যুদ্ধের সময় তারা কিয়েভকে মানবিক সহায়তা দিয়েছে।