‘ওমিক্রন’ দাপটের মধ্যেই ‘নিওকোভে’র শনাক্ত, যা বলঠে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫৩, রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২, ১৬ মাঘ ১৪২৮

নিউজ ডেস্ক : করোনার ওমিক্রন ধরনের দাপটের মধ্যেই চীনা গবেষকরা আরও একটি নতুন ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে নিওকোভ।

গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, আপাতত এ ভাইরাস দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের শরীরে ছড়ালেও ভবিষ্যতে তা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। একটিমাত্র মিউটেশনেই এটি মানুষের শরীরের কোষে প্রবেশ করতে সমর্থ হবে। আর সংক্রমণের শিকার প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হতে পারে এ ধরনে। তবে শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

উহান ইউনিভার্সিটি এবং চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অব বায়োফিজিক্সের গবেষকরা করোনাভাইরাসের নতুন ওই ধরন শনাক্ত করেছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিওকোভ ভাইরাসটি আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের শরীরে ছড়ালেও ভবিষ্যতে তা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের মতোই মানবকোষে ঢুকতে পারে এটি।

গবেষকরা বলছেন, ২০১২ সালে সৌদি আরবে শনাক্ত হওয়া ভাইরাস মার্সের (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) সঙ্গে নতুন ধরনটি খুব সংশ্লিষ্ট। এটি মার্স কভের মতোই প্রাণঘাতী (প্রতি ৩ জনে ১ জনের মৃত্যু) এবং বর্তমান করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের মতো উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে পারে।

চীনা গবেষকরা আরও আশঙ্কা করেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিদ্যমান অ্যান্টিবডি দিয়ে নিওকোভকে ঠেকানো নাও যেতে পারে। গবেষণা প্রতিবেদনটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। বায়োআরজিভ ওয়েবসাইটের পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

রুশ বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে নিওকোভ নিয়ে ডব্লিউএইচওর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংস্থাটি বলেছে, গবেষণায় ভাইরাসের যে ধরন শনাক্ত হয়েছে, এটি মানবশরীরের জন্য হুমকি তৈরি করবে কি না, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। ডব্লিউএইচও বলছে, যেসব ভাইরাস মানবদেহকে আক্রান্ত করে, তার ৭৫ শতাংশেরই উৎস বন্য প্রাণী। বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস শনাক্ত হয়। এসব ভাইরাসের বেশিরভাগেরই প্রাকৃতিক ভান্ডার হিসেবে বাদুড়কে অভিহিত করা হয়।

ডব্লিউএইচও বলেছে, প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগেই গবেষণার তথ্য দেওয়ায় চীনা গবেষকদের প্রতিও ধন্যবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিষয়ঃ কোভিড-১৯

Share This Article