বাক-স্বাধীনতাহীন দেশে ইউনুসের পক্ষে সাফাই ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেলের!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:২৬, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ২১ ভাদ্র ১৪৩০

এ সরকারের আমলে সবাই নিজ মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করছে এমরান ভূইয়ার দ্বিমত পোষণই তার দৃষ্টান্ত। দেশে যদি এমন পরিস্থিতি না থাকতো তবে কি করে সরকারি আইনজীবী হয়েও সরকারের বিপক্ষে মত প্রকাশ করতে পারেন? এটি সরকারবিরোধী পক্ষের ঢালাও অভিযোগের মোক্ষম জবাব

সরকারবিরোধীদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ দেশে বাকস্বাধীনতা নেই। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা বা সমালোচনা করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতেই সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনুস ইস্যুতে খোদ সরকারের বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মেদ ভূঁইয়া।  

ক্ষমতাসীন দলের মতের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন বক্তব্য দেয়ার ঘটনা সরকারি আইন কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরল। যে কারণে এমরান ভূঁইয়ার দ্বিমত পোষণ বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে আইন কর্মকর্তাদের একাংশ মনে করেন রাষ্ট্রীয় পদে অধীনস্থ থাকাকালীন এমরান ভূঁইয়া এমন মন্তব্য করতে পারেন না।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের আইন কর্মকর্তাদের সরকার নিয়োগ দিয়ে থাকে।  রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের স্বার্থ রক্ষা করা আইনজীবীদের দায়িত্ব। কিন্তু এমরান ভূইয়া তার বিরুদ্ধাচরণ করে সরকার ও রাষ্ট্রের বিপক্ষে গিয়েছেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে এটি তার অনুচিত হলেও এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। এটি তার সংবিধান প্রদত্ত স্বাধীনতাও বটে।   

এ সরকারের আমলে সবাই নিজ মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করছে এমরান ভূইয়ার দ্বিমত পোষণই তার দৃষ্টান্ত। দেশে যদি এমন পরিস্থিতি না থাকতো তবে কি করে সরকারি আইনজীবী হয়েও সরকারের বিপক্ষে মত প্রকাশ করতে পারেন? এটি সরকারবিরোধী পক্ষের ঢালাও অভিযোগের মোক্ষম জবাব বলেও মনে করেন তিনি।   

উল্লেখ্য, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এমনতাবস্থায় ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে নোবেল বিজয়ী ও সুপরিচিত শতাধিক নেতা বিবৃতি দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে  এডিটরস গিল্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মতো বাংলাদেশের একাধিক পেশাজীবী সংগঠন ড. ইউনূসের বিপক্ষে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে। 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article