নির্ধারিত সময়ের আগে হাঁড়িভাঙা বাজারে, জানে না কৃষি বিভাগ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৪০, বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম বাজারে আসার কথা ছিল ২০ জুন থেকে। কিন্তু প্রখর খরতাপের কারণে হাঁড়িভাঙা নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্লাস্টিকের ঝুড়িতে ফেরি করে আম বিক্রি করা হচ্ছে। আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ জুন থেকে হাঁড়িভাঙা বাজারজাতের দাবি জানিয়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রথম থেকেই প্রচণ্ড গরম ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার আমের সাইজ অন্যান্য বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে খরা অবস্থা বিরাজ করায় আমের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমচাষিরা বলেন, প্রচণ্ড গরমে এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পাকতে শুরু করেছে। অনেক বাগানের আমের সাইজ খুব ছোট হয়েছে। এ অবস্থায় বিগত বছরের মতো আমে লাভ নাও হতে পারে বলে শঙ্কা করছেন চাষি ও আম ব্যবসায়ীরা।

এদিকে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাইকেল অথবা ভ্যানে করে হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। প্রতিকেজি আম ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামপুরের আম চাষি সামছুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ের আগে আম পাকতে শুরু করেছে। কৃষি বিভাগ আম পারার তারিখ নির্ধারণ করেছে ২০ জুন থেকে।  

চাষিদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের উচিত ছিল এই বিরুপ আবহাওয়ায় ২০ জুনের আগে আম পারার নির্দেশনা দিতে পারত। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে কৃষি বিভাগের বেধে দেওয়া সময়ের আগে চাষিরা আম পারতে বাধ্য হচ্ছেন।

জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জ, নগরীর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন অস্থায়ী আমের বাজার, লালবাগ বাজারসহ অন্যান্য আমের বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। এবার সব কিছুই আগে-ভাগে হতে শুরু করেছে।

সূত্রমতে, প্রতি বছর শুধু হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করে রংপুরের চাষিরা ২০০ কোটি টাকার ওপর ঘরে তোলে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে রংপুরে এবার এক হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙার আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং মৌসুমের শেষ দিকে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ১৫০ টাকার বেশি কেজি বিক্রি হয়।

নির্ধারিত সময়ের আগে আম পারা প্রসঙ্গে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, চাষিরা তাদের পছন্দমতো সময়ে ফসল ঘরে তুললে কৃষি বিভাগ বাধা দিতে পারে না।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article