মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন খোকন সেরনিয়াবাত
বরিশালবাসির কল্যাণে কোনো বিষয়েই দৃষ্টি এড়াচ্ছেনা নৌকার মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ গঠনে সুশিক্ষা এবং ধর্মের সঠিক চর্চার জন্য নগরের সব মসজিদ-মাদ্রাসা গুলোর উন্নয়ন করা হবে।
বাংলার ভানিস খ্যাত বরিশালে চলছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষের বসবাস এই শহরে। তবে শহরের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তি ইসলামী আন্দোলনের নেতা চরমোনাই পীর মুফতি ফয়জুল করিম। তিনি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে দান-সদকা গ্রহণ করলেও স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দী পরেও বরিশাল নগরের মসজিদ-মাদ্রাসা গুলো থেকে গেছে অবহেলিত।কেননা চরমোনাই পরিবারটি নিজেদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা ছাড়া অন্য কোনো মাদরাসায় সহযোগিতা করতে অনুৎসাহিত করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবৎ।
তবে বরিশালবাসির কল্যাণে কোনো বিষয়েই দৃষ্টি এড়াচ্ছেনা নৌকার মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ গঠনে সুশিক্ষা এবং ধর্মের সঠিক চর্চার জন্য নগরের সব মসজিদ-মাদ্রাসা গুলোর উন্নয়ন করা হবে।
সূত্র জানায়, বরিশাল শহরে প্রায় ১৫০টি মসজিদ ও বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং রয়েছে। এই সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জনগণের নিকট থেকে দান-সদকাহের অর্থ সংগ্রহ করেন চরমোনাই পীর। কিন্তু নিজেদের মসজিদ-মাদ্রাসা ছাড়া অন্য কোন মসজিদ মাদ্রাসার কোন উন্নয়ন করেননি তারা, এমনকি সেই অর্থের কোনো নির্দিষ্ট হিসাবও নেই।
অন্যদিকে ৪ জুন নগরীর বগুড়া রোডস্থ ক্রাউন কনভেনশন হলে বরিশাল ইমাম সমিতির আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে স্থানীয় মসজিদ মাদ্রাসাগুলোর খোঁজ খবর নেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তিনি বলেন, খেয়াল খুশি মত ধর্মকে ব্যবহার করলে সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধর্ম একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। এতেকরে প্রকৃত ধর্মশিক্ষা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ গঠনে সুশিক্ষা এবং ধর্মের সঠিক চর্চাই পারে পরিবর্তন করতে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে অবহেলিত বরিশালকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। এলাকার মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়ন করবো। ইসলামের সেবায় নিয়োজিত সর্বজন শ্রদ্ধাভাজন ইমাম, মুয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ানো হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন জানায়, নদী বেষ্টিত বরিশাল নগরের মানুষ মসজিদ মাদ্রাসার প্রচুর অর্থ দান করলেও সেগুলো উন্নয়নের কোন কাজে লাগে না। তবে খোকন সেরনিয়াবাতের মতো একজন সৎ, আমানতদার মানুষ যদি মেয়র নির্বাচিত হয় তাহলে জনগণের দানের টাকাগুলো উন্নয়নের কাজে লাগবে। এছাড়া, সাধারণ মানুষের বিপদে সবসময় ঝাঁপিয়ে পড়ার নজির রয়েছে খোকন সেরনিয়াবাতের। শ্রদ্ধাভাজন ইমাম, মুয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ানো হলে তাদের মানবেতর জীবন- যাপন করতে হবেনা বলেও মনে করেন তারা।