ভ্রমণ কর নিয়ে বিভ্রান্তি: আসল সত্য কি?
অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে এনে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভ্রমণ কর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে একটি মহল এ কর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আর কেউ কেউ না বুঝেই দিচ্ছেন নানান প্রতিক্রিয়া। কিন্তু সবাইকে কি ভ্রমণ কর দিতে হয়? না, বিষয়টি তেমন নয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির কাছ থেকে ভ্রমণ কর নেয় না। এছাড়া তারা প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে যে কাউকে এই ভ্রমণ কর দেওয়া থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে।
জানা গেছে, ভ্রমণ কর হিসেবে আকাশ পথে দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ হাজার থেকে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা, স্থল পথে দেশের বাইরে যেতে ১ হাজার টাকা, এবং জলপথে দেশের বাইরে যেতে ১ হাজার টাকা এবং দেশের ভেতরে আকাশ পথে ভ্রমণে ২শ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এবার দেখে নেওয়া যাক, কাদের ভ্রমণ কর দিতে হয় না:-
১. পাঁচ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সের কোনো যাত্রী।
২. হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে গমনকারী ব্যক্তি।
৩. অন্ধব্যক্তি বা ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী বা স্ট্রেচার ব্যবহারকারী পঙ্গু ব্যক্তি।
৪. জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য।
৫. বাংলাদেশে অবস্থিত কূটনীতিক মিশনের কূটনৈতিক মর্যাদাসম্পন্ন সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্য।
৬. বাংলাদেশে কর্মরত বিশ্বব্যাংক, জার্মান কারিগরি সংস্থা ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য।
৭. বিমানে দায়িত্বরত ক্রু।
৮. বাংলাদেশের ভিসাবিহীন ট্রানজিট যাত্রী যাঁরা ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার অধিক সময় বাংলাদেশে অবস্থান করবেন না।
৯. যেকোনো বিমান সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি বিনা ভাড়ায় অথবা হ্রাসকৃত ভাড়ায় বিদেশে যাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কর প্রযোজ্য হবে না।
ভ্রমণ কর বাড়ানোর কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা আছে। সে জন্য অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে আর্থিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।তাই জনগণের স্বার্থে দেশের অর্থনীতি নিরাপদ রাখতেই বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র করের আওতায় আনা হয়েছে।