প্রকৃতি রুষ্ঠ না হলে আর কোনো চ্যালেঞ্জ নেই-তালুকদার আ: খালেক

ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে একজন জনপ্রতিনিধি নির্দিষ্ট মেয়াদ অনুযায়ী মানুষের সেবা করার সুযোগ পান। তবে কেউ কেউ প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না করার ফলে তাদের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগের পাহাড় জমা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যতীক্রম খুলনা সিটির সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। তার প্রতি কারো কোনো অভিযোগ নেই। বরং নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় সকলের কাছেই প্রশংসিত তিনি।
সম্প্রতি এক নির্বাচনী সভায় তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, আমি ৪৬ বছর বিভিন্নভাবে জনপ্রতিনিধি ছিলাম। এই খুলনা সিটিতে ২ বার ওয়ার্ড কমিশনার ছিলাম। ২ বার মেয়র ছিলাম। এই সময়ের মধ্যে নগরবাসী আমার কাছে যা কিছু প্রত্যাশা করেছিল, তার সবকিছুই পূরণ করার চেষ্টা করেছি। অবকাঠামো থেকে শুরু করে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সবকিছুই করেছি।
ইতোমধ্যে ৪১৮টি সড়কের উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। চলমান আছে ১১৪টি সড়কের কাজ। এই কাজগুলো শেষ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটা বড় পরিবর্তন হবে। এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৮২৩ কোটি টাকার একটি কাজ চলছে। এগুলো শেষ হলে জলাবদ্ধতার একটা স্থায়ী সমাধান হবে। এছাড়া এ শহরের উল্লেখ করার মত কোন সমস্যা নেই।
তবে প্রাকৃতিক সমস্যা বিশেষ করে অতিরিক্ত ‘গরম’র কথা উল্লেখ করে তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, এখানে কোন ঝামেলা নেই, টেনশন নেই। তবে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে একমাত্র গরম। বিশেষ করে গাছপালা কমে যাওয়ায় এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে নগরবাসীও অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, আমার কাছে খুলনাবাসীর এখন একটাই প্রত্যাশা, চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার মাধ্যমে খুলনার উন্নয়নকে দৃশ্যমান করা। সেই সাথে বেশি বেশি বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি হাতে নিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে খুলনা নগরীর গরমকে নিয়ন্ত্রণ করা। আর ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত হয়ে সেই প্রত্যাশা পূরণেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তালুকদার আবদুল খালেক।