বিসিসি নির্বাচন: বিশ্বাসঘাতকদের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কড়া হুঁশিয়ারি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১২ জুন। এ নির্বাচনের শুরুতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কিছুটা চাপে ছিলেন নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে নিরসন হয়েছে এই দ্বন্দ্ব। এরপরও প্রকাশ্যে যারা নৌকার বিরোধী কিংবা মিছিল সমাবেশ করছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাইকমান্ড। একই সঙ্গে দল বিমুখ নেতাকর্মীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সম্প্রতি বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক সভায় এমনই ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে বিশ্বাসঘাতকদের কোনো জায়গা হবে না। কারণ, ঘরের শত্রু বিভীষণ। ঘরে শত্রু রেখে লড়াই করা যায় না। ঘরে শত্রু রেখে, বিশ্বাসঘাতক রেখে আমরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের মহান নেতাকে হারিয়েছি। আমরা আর কাউকে হারাতে চাই না।’
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমরা জানি, গাজীপুর সিটি নির্বাচন জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে পরাজিত হইনি, আমরা হেরেছি ষড়যন্ত্রের কাছে, আমরা হেরেছি বিশ্বাসঘাতকদের কাছে। আরও অনেক কিছু আমাদের জানার আছে। এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। আমরা গাজীপুর থেকে সতর্ক হয়ে বরিশাল সিটি নির্বাচনে কৌশল পাল্টে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী মানুষের কাছে যাব। ভোট চাইবো। যতবার যাওয়ার প্রয়োজন, ততবার যাব।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে পরাজয় প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনে পরাজয়ে আমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু আমরা অনেক বেইমান-বিশ্বাসঘাতককে চিনতে পেরেছি। তবে বরিশালে আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। এখানকার সব পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন।’
উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মাঝে। একই সঙ্গে শুরুতে খোকন সেরনিয়াবাতের বিরোধিতাও করেছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। পরবর্তীতে দলের নির্দেশনায় বিভেদ ভুলে নৌকাকে জেতাতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি। এছাড়া ভোটের মাঠে নামেন তার অনুসারীরাও। ফলে বরিশোল আওয়ামী লীগ এখন ঐক্যবদ্ধ।