সৌদি আরবে কেন আটক হয়েছিলেন চরমোনাই পীর

দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আসছিলেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্যে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানও বিভ্রান্ত হন। এমন অভিযোগ অনেকেরই। ইসলামের অপব্যাখ্যার কারণে ২০১৫ সালে সৌদি আরবেও আটক হয়েছিলেন এই চরমোনাই পীর। যদিও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এরপরও থেমে নেই তার অপকর্ম। স্বার্থ হাসিলে চলতি সিটি নির্বাচনেও এমন পথ বেছে নিয়েছেন ফয়জুল করিম।
জানা গেছে, ইসলামের অপব্যাখার কারণে ২০১৫ সালের ৩০ মে সৌদি আরবের রিয়াদে আয়োজিত একটি মাহফিল থেকে ফয়জুল করিমকে আটক করে দেশটির পুলিশ। পরে তাকে ছাড়াতে বিভিন্ন তদবির চালান দেশটিতে অবস্থানরত চরমোনাইয়ের নেতারা। তবে তার বয়ানের ক্যাসেট যাচাই-বাছাইয়ের পর অভিযোগের কিছুটা সত্যতা পান সৌদির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৪০ দিন জেল খেটে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
সৌদি আরবে ফয়জুল করিমের আটকের খবর ছড়াতেই এক ধরনের লজ্জায় পড়ে যায় দেশের আলেম সমাজ। কেননা নিজেদের একমাত্র সহিহ আকিদার দল হিসেবে পরিচয় দিলেও ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ বা চরমোনাই পীর পুরোপুরি উল্টো নীতিতে চলেন। একই সঙ্গে ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করেন ঢাল হিসেবে। মনগড়া কথার কারণে বেশ কয়েকবারই বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। এমনকি ইসলামের অপব্যখ্যার কারণে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিরোনামও হয়েছেন এই পীর।
নানা ধরনের বিতর্ক থাকলেও এবারের বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন চরমোনাইয়ের নায়েবে আমীর ফয়জুল করিম। ভোট পেতে ইসলামকেই টোপ হিসেবে ব্যবহার করছেন। প্রচারণায় গিয়ে নিজের নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখায় ভোট দিলে নবীকে ভোট দেওয়া হবে বলে জানান ভোটারদের। একজন পীর ও মাওলানা হওয়ায় ভোটাররাও তার কথা বিশ্বাস করেন।
এছাড়া হাত পাখা সম্বলিত খামের ভেতরে টাকা ভরার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সব মিলিয়ে চরমোনাই পীরের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও তোলপাড় চলছে দক্ষিণাঞ্চলসহ গোটা দেশে।