ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৩৮, মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেল পদকজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) রেজওয়ানুর রহমান। মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

ব্রিফিংয়ে রেজওয়ানুর রহমান জানান, গ্রামীণ টেলিকমের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (WPPF) অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের কাছে অভিযোগ করা হয়। পরে দুদক আইন ও বিধি মোতাবেক অনুসন্ধান করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজসে’ ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পায়। এতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করা হয়।

ড. ইউনূস ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম (৫০), সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান (৬৩), পরিচালক পারভীন মাহমুদ (৬২), নাজনীন সুলতানা (৬১), মো. শাহজাহান (৬৫), নূরজাহান বেগম (৭২), এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী (৬২), অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী (৪২), অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ (৪৭), গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান (৩৯), সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান (৪৩), গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম (৪০)।

অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দুদকের কমিটিতে সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী।

অভিযোগ অনুসন্ধানে গত বছরের আগস্টের বিভিন্ন সময়ে এমডিসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। অনুসন্ধান পর্যায়ে বারবার নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ আসে।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে  গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগতভাবে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ সময় গ্রামীণ টেলিকমের এমডি বলেন, বোর্ডের মাধ্যমে সব সিদ্ধান্ত হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে কোনো কিছুর সঙ্গে ড. ইউনূস জড়িত নন। এছাড়া নিয়ম মেনেই শ্রমিকদের অর্থ ছাড় করা হয়েছে।
 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


একই পরিবারে দগ্ধ ৬ : মায়ের পর চলে গেলেন মেয়েও

১৫০ উপজেলায় ১৮৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

সৌদি ওমরাহ ভিসার মেয়াদ জানাল

মঙ্গলবার ৩ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে

রেমিট্যান্সে শীর্ষে ঢাকা, তারপর চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা

শ্রম আইন লঙ্ঘন: মঙ্গলবার স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস

পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা নিয়ে যা বললেন আরাফাত

দেশের পথে ‘এমভি আবদুল্লাহ’, চার দেশের নৌসেনারা দিচ্ছে গার্ড

‘ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না’

স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম: সেতুমন্ত্রী

স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপরে উৎসবে যেতাম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী