বিসিসি নির্বাচন: বেশি নারী ভোটার, যাবেন কোনদিকে?
- নারী ভোটারদের উপস্থিতি পুরুষদের তুলনায় বেশি হওয়ায় বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নারী ভোটারদের কাছে ছুটছেন।
- প্রার্থীদের জয়ে নারী ভোটারদের একটি বড় ভূমিকা থাকবে।
- ধর্মীয় গোড়ামি ও নানান সময়ে নারীবিদ্বেষী বিভিন্ন বক্তব্যের জন্য হাতপাখার প্রার্থী পিছিয়ে থাকলেও সজ্জন, সৎ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত খোকন সেরেনিয়াবাত এগিয়ে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় ফ্যাক্ট হচ্ছে নারী ভোটার।কারণ, পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যাটাই অনেক বেশি।এছাড়া নারী ভোটারদের উপস্থিতি পুরুষদের তুলনায় বেশি হওয়ায় বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইতোমধ্যে নারী ভোটারদের কাছে ছুটছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থীর সহধর্মিণীরা। আর সেই হিসেবে মেয়রসহ সব প্রার্থীদের জয়লাভের জন্য নারী ভোটারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।কিন্তু নারী ভোটারদের ভোট পড়বে কার বাক্সে?
জানা গেছে, মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। সেই হিসেবে পুরুষদের দেয়ে নারী ভোটার ১ হাজার ৩২০ জন বেশি।এছাড়া ভোটের মাঠে পুরুষদের চাইতে নারী ভোটারদের আধিক্যই সাধারণত বেশি দেখা যায় নানান কারণে।তাই আসন্ন সিটি নির্বাচনে নারী ভোটারদের একটি বড় ভূমিকা থাকবে প্রার্থীদের জয়ে।
এছাড়া বিসিসি নির্বাচনে এবার অনেক তরুণীই জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন।তাই ভোট দানে আগ্রহটাও একটু বেশিই। নতুন এই ভোটারদের আশা-আকাক্সক্ষা ভিন্ন মাত্রার। ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষিত ও বয়সে তরুণ এসব নারী ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে তুলনামূলক সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিবেন। আর এজন্য মেয়রসহ প্রায় সব প্রার্থীই নারী ভোটারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বরিশালে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতের সহধর্মীনি লুনা আবদুল্লাহ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের পক্ষে তার সহধর্মিণী ইসমত আরা ইকবাল নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নারী ভোটারদের কাছে দুইজনই স্বামীর পক্ষে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। আর নারী ভোটাররাও তাদের কাছে পেয়ে সব দাবি দাওয়া তুলে ধরতে পারছেন।
অন্যদিকে ধর্মীয় গোড়ামি ও নানান সময়ে নারীবিদ্বেষী বিভিন্ন বক্তব্যের জন্য হাতপাখার প্রার্থী চরমোনাইর পীর মুফতি ফয়জুল করিম ভোট নারীদের ভোট তেমন টানতে পারবেননা। রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি ভোটের মাঠে না গেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে দলটির এক নেতা। সেক্ষেত্রে জামায়াত ও বিএনপির ভোটও তিনি পাবেন না।
এদিকে সজ্জন, সৎ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত খোকন সেরেনিয়াবাত। নারী ভোটারদের আকুষ্ট করতে মেয়রের স্ত্রী লুনা আব্দুল্লা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। যা চোখে পড়া্র মত।বিপরীতে নারী ভোটারদের অন্দর মহলে সেভাবে হানা দিতে পারছেননা চরমোনাই পীর। ফলে নারী ভোটারদের অধিকাংশ ভোট নৌকার মাঝি খোকন সেরেনিয়াবাতের বাক্সেই যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৌতিক বিশ্লেষকরা।