দেশি ফলেই বাজার মাত!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:১১, শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

এসেছে মধুমাস। আমাদের দেশে  বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ—এই দুই মাস গরমকাল। ফলের বিবেচনায় এই দুই মাসকে বলা হয় মধুঋতু, আর জ্যৈষ্ঠ মাস হলো মধুমাস। আম, জাম, লিচু, কাঁঠালে জমজমাট ফলের বাজার। বিদেশি ফলকে হটিয়ে এখন দেশের বাজার দখল করে রেখেছে দেশি ফল। শীতকাল ছাড়া বছরের বাকি সময়টা দেশি ফলের দখলেই থাকে বাজার।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে। তিনি বলেন, মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপেতে ১৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে। ২০ বছর আগে আম আর কাঁঠাল ছিল এ দেশের প্রধান ফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, গত সাত বছরের ব্যবধানে দেশে ফলের উৎপাদন বেড়েছে ২২ লাখ কেজি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশি ফল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯৯ লাখ ৭২ হাজার কেজি। আর ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ কেজিতে। দেশি ফলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে—এতে রাসায়নিকের ব্যবহার হয় খুব কম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারেই হয় না। তাই নিশ্চিন্তে খাওয়া যায় এসব ফল।


ফল আমদানিকারকরা বলছেন, গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বিদেশি ফলের চাহিদা নেমে দাঁড়ায় ২০ শতাংশে। এ সময়টায় বাজারের ৮০ শতাংশ ফলের চাহিদা পূরণ করে দেশি ফল। মৌসুমি ফলের দাপটে এ সময় বিদেশি ফল আমদানি কমে যায়। তবে এতে খুশি হওয়ার মতো কিছু হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে বিদেশি ফলের বাজার হটিয়ে দেশি ফলের বাজার দখল সম্ভব হবে না। এর কারণ হিসেবে ফল ব্যবসায়ীরা জানালেন, দেশি ফলের বাগান খুব বেশি নেই। বাণিজ্যিকভাবে চাষ না বাড়লে দেশি ফলের বাজার সম্প্রসারণ করা সহজ হবে না।
 

বিষয়ঃ গবেষণা

Share This Article