বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না: জি এম কাদের

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৭, শনিবার, ২০ মে, ২০২৩, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘পৃথিবীর সকল ধর্মই শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণের কথা বলেছে। প্রতিটি ধর্মই মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়ণের কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষ হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐতিহ্য লালন করছে। সকল ধর্মের মানুষ যেন আত্মীয়তার বন্ধনে বাধা। দেশের মানুষের রক্তের মধ্যেই আছে ধর্মনিরপেক্ষতা। অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমাদের শেখাতে হয় না।’

আজ শনিবার দুপুরে দয়াগঞ্জের জাতীয় শিব মন্দির চত্বরে স্বামী শ্রী অধোক্ষানন্দ দেবতীর্থ মহারাজের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভারত হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে কাছের এবং বড় প্রতিবেশী। ভারতের জনগণ সবসময় আমাদের পাশে ছিল। শুধু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ নয়, সকল প্রয়োজনেই ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের পাশে ছিল। আমাদের সংস্কৃতি, চেহারা ও ইতিহাসে মিল আছে। বর্তমানে ভারত শুধু সামরিক শক্তি নয়, অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে। বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের সাথে আমরাও উপকৃত হচ্ছি। ব্যবসা, চিকিৎসা এবং শিক্ষার জন্যও ভারত আমাদের কাছে দরকারি। আমাদের স্বার্থেই ভারতের সাথে সুস্পর্ক রাখা জরুরি।’

জি এম কাদের বলেন, ‘প্রতিবেশী সকল দেশের সাথেই জাতীয় পার্টি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করে। ভারতের সাথে আমাদের যেমন সম্পর্ক রাখা দরকার, তেমনি আমাদের সাথেও ভারতের সম্পর্ক রাখা জরুরি। ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশের সাথে ভারতে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। কারণ, ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে বাংলাদেশকে যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে। ভারতে ন্যায্য দাবি হচ্ছে, বাংলাদেশকে ব্যবহার করে কেউ যেন ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে। পরস্পরের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারত শক্তিশালী সম্পর্ক। তাই বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না। এমন সম্পর্কে পরস্পর এক সাথে এগিয়ে চলা সহজ হয়। ভারতের প্রয়োজনে আমরা সহায়তা দেব, আবার আমাদের প্রয়োজনে ভারত সহায়তা করবে—এটাই দুটি দেশের মানুষের প্রত্যাশা। এ কারণেই ভারতে যে সরকারই আসে তারাই বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পরস্পরের ভাই হিসেবে থাকব, একে অন্যের বিপদে পাশে থাকব। বাংলাদেশ ও ভারত একইসাথে সার্বিক উন্নয়ণের পথে এগিয়ে যাবে।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ভারতের ত্রিপুরা বিধান সভার ডেপুটি স্পিকার শ্রী রাম প্রসাদ পাল, সত্যম রায় চৌধুরী, এসকে বাদল ও তরুন চক্রবর্তী।

অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধণা সাভা পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু ও যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব।

Share This Article


ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

আগামীকাল ৪৬তম বিসিএস প্রিলির পরীক্ষা, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

সৌদি বাদশাহ সালমান হাসপাতালে ভর্তি

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

সাহিত্য চর্চার আড়ালে নিষিদ্ধ পর্নগ্রাফির কারিগর টিপু কিবরিয়া

বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার

জাপায় হুটহাট বহিষ্কার-অব্যাহতির ধারা বাতিল: রওশন

সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে, নিহত ৬

‘অনাহারে’দিন কাটছে গাজার অর্ধেক জনসংখ্যার: জাতিসংঘ

ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী