জিআই মর্যাদা পাচ্ছে আরো ৭ পণ্য, রপ্তানি আয়ে মিলবে বিশেষ সুবিধা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:১৯, শনিবার, ২০ মে, ২০২৩, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

কোনো একটা দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য। শুধু বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয় এমন ১১টি পণ্য ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সম্প্রতি এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো ৭টি পণ্য। এ নিয়ে দেশে জিআই মর্যাদা পাওয়া মোট পণ্য হচ্ছে ১৮টি।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি। এরপর একে একে পেয়েছে ইলিশ মাছ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, ফজলি আম, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল। আর সম্প্রতি পেলো ছাগল ব্ল্যাক বেঙ্গল, শীতলপাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।

আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। এ জন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠনকে তথ্য-উপাত্তসহ ডিপিডিটির কাছে আবেদন করতে হয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রারের অনুমোদন পেলে জার্নালে প্রকাশ করা হয়। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। দুই মাসের মধ্যে কেউ যদি এই পণ্য নিয়ে আপত্তি না তোলে তাহলে সনদ দেওয়া হয়। এর পরই কেবল দেশের মধ্যে একক মর্যাদাসম্পন্ন পণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়।

জিআই মর্যাদা পেতে নতুন ৭ পণ্যের আবেদন করেছে যারা : বগুড়ার দইয়ের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। শীতলপাটির জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। তুলসীমালা ধানের জন্য আবেদন করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক। ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। নাটোরের কাঁচাগোল্লার আবেদন করেন সেখানকার জেলা প্রশাসক। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জন্য আবেদন করে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিআই সনদ পেলে আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে সুবিধা হয়। দেশের ভাবমূর্তি উন্নত হয়। পণ্যের মৌলিকত্ব বা সত্ত্বার একমাত্র দাবিদার ঘোষণা মিলে, পাশাপাশি সনদ পেলে রপ্তানিতেও বড় সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া বিদেশিরা জানবে পণ্যটি বাংলাদেশের নিজস্ব।

উল্লেখ্য, সরকার ২০১৩ সালে জিআই সনদ আইন পাস করে। আর বিধিমালা প্রকাশ করে ২০১৫ সালে। এই বিধিমালার সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে জিআই সনদ দেয় ডিপিডিটি।

Share This Article


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের আমির

যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো

কাতারের আমির আজ ঢাকা আসছেন

সোমবার ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, সই হচ্ছে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

টিকফা নিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠক আজ

খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়: প্রধানমন্ত্রী

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নির্দেশনা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

এবার ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

নির্বাচনের পর প্রথম ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের ভয়ঙ্কর ৩২ দিন!