ভারত মহাসাগর অঞ্চল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছয় প্রস্তাবে যা রয়েছে

ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদার করা, অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য ‘সামুদ্রিক কূটনীতি’ জোরদারে ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১২ মে ষষ্ঠ ‘ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি)-২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করেন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত মহাসাগর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং এ অঞ্চলের সব দেশের জন্যই তাত্পর্যপূর্ণ। আমরা সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রণয়ন করেছি। আমি এ ষষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলনে ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করছি।’
১. ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে তাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সমুদ্র কূটনীতি’জোরালো করতে হবে।
২. এ অঞ্চলের অনেক দেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের ঝুঁকিতে থাকার বিষয়টি বিবেচনা করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং তত্সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
৩. একটি স্থিতিশীল ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সমীহের ভিত্তিতে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে।
৪. ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিদ্যমান ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, যার মধ্যে সমুদ্রে জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দেয়া, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌ ও বিমান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শান্তির সংস্কৃতি চর্চা এবং জনবান্ধব উন্নয়নের প্রসার করতে হবে; একটি শান্তিপূর্ণ, সমতাভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে বিশ্ব জনগোষ্ঠীর অর্ধেক—নারী সম্প্রদায়কে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।
৬. উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, নিয়মভিত্তিক বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার প্রসার করা, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এ অঞ্চলে এবং তার বাইরেও সমতাভিত্তিক টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
সমুদ্রপথের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে সাগর-মহাসাগরগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ ও তেল পরিবহনের ৬০ শতাংশ পরিচালিত হচ্ছে, যা বিগত ১৫ বছরে তিন গুণ বেড়েছে।