ইতিবাচক ধারায় বাংলাদেশের রিজার্ভ, ফের ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো
বিশ্বজুড়ে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। বিভিন্ন দেশে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি, কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। চলতি বছর মার্চ-এপ্রিল সময়ে আমদানি বাবদ ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কিছুটা কমে গিয়েছিল বাংলাদেশের। তবে ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, বিশ্বব্যাংকের ঋণের ৫০৭ মিলিয়ন ডলার পাওয়ায় বাংলাদেশের রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমান ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, রিজার্ভের বিষয়টি একটি প্রবহমান ধারা। কমবে আবার বাড়বে। আগামী জুনের মধ্যে রিজার্ভ আবারও ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠবে।
দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে রিজার্ভ বেড়ে প্রথমবার ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি, খাদ্যসহ সব ধরনের পণ্য ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। একই পণ্য বা সেবা আমদানিতে আগের চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা গুনতে হয়। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন থেকে ডলার বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। আর এতেই কমতে থাকে রিজার্ভ।
তবে রিজার্ভ বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী আয়ে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, চার্জ বা ফি মওকুফ করা হয়েছে রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থও হয় বাংলাদেশ। এরইমধ্যে ঋণের প্রথম কিস্তি সরবরাহও পেয়ে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ বিশ্বব্যাংকের ঋণের ৫০৭ মিলিয়ন ডলার ছাড় হলে রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।