বাংলাদেশে বিনিয়োগ: কোন দেশের অবস্থান কোথায়
বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বহুমুখী। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক এই সম্পর্ক ইতোমধ্যে ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এছাড়া সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সব দেশকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশে এখনও শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ৪১০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, যা মোট বিনিয়োগের ১৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র চীনের বিনিয়োগ ১৩৪ কোটি ডলার। প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিনিয়োগ মাত্র ৬৯ কোটি ডলার। এছাড়া যুক্তরাজ্য ২৭১ কোটি, সিঙ্গাপুর ১৮৪ কোটি, দক্ষিণ কোরিয়া ১৪৬ কোটি, হংকং ১২৭ কোটি, নেদারল্যান্ডস ১২৫ কোটি, মালয়েশিয়া ৯১ কোটি এবং অস্ট্রেলিয়া ৭৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
জানা গেছে, বিদেশি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি গ্যাস ও জ্বালানি তেলে।এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৮৭ কোটি ডলার। যার মধ্যে ২৯১ কোটি ডলারই বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খাতটিতে ৭২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও এই খাতে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করেনি চীন।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা টেক্সটাইল খাতে বিদেশি বিনিয়োগ ৩৮৪ কোটি ডলার। এই খাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ দক্ষিণ কোরিয়ার। দেশটির বিনিয়োগের পরিমাণ ৯৯ কোটি ডলার। টেক্সটাইল খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের পরিমাণ ১২ কোটি ডলার। আর চীন এই খাতে বিনিয়োগ করেছে ৩১ কোটি ডলার।
বিনিয়োগে তৃতীয় অবস্থানে থাকা খাত ব্যাংকিং। এই খাতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮১ কোটি ডলার। খাতটিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটির বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪১ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র এই খাতে ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করলেও কোনো ধরনের বিনিয়োগ করেনি চীন।
দেশের বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২৪৬ কোটি ডলার। খাতটিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ চীন। দেশটির বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৬ কোটি ডলার। এর পরের অবস্থানে থাকা সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৯ কোটি ডলার। আর বিদ্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করেছে ১৭ কোটি ডলার।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বীমা খাতে ২৭ কোটি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৪ কোটি, ট্রেডিংয়ে ৮ কোটি, কেমিক্যাল এবং ফার্মাসিউটিক্যালসে ৯৬ লাখ, কৃষি ও মৎস্যে ৩০ লাখ, খাদ্যে ২২ লাখ, নির্মাণ খাতে ১৯ লাখ এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেছে ৮ কোটি ডলার।