জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক: জাতীয় স্বার্থ অর্জনে সহায়ক হবে

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২৭, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক 'অংশীদারিত্ব' থেকে কৌশলগত'-এ উন্নতিতে সম্মত হয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফুমিও কিশিদার। ২৬ এপ্রিল টোকিওতে শীর্ষ বৈঠকের পরে ঘোষিত যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এর মধ্য দিয়ে ভারত ও চীনের পর জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি করলো বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কৌশলগত সম্পর্ক বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ অর্জনে সহায়ক হবে এবং জাপানের বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বাংলাদেশকে।এর পাশাপাশি চীন, ভারত ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আদ্যোপান্ত আলোচনা করেছি। আমরা খুব খুশি যে, বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছাতে পেরেছি।’

এর আগে ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে আটটি ক্ষেত্রে চুক্তি ও সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষরিত হয়। দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা সই করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এক যৌথ বিবৃতি দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুই পক্ষে কৃষি, শুল্কসংক্রান্ত, প্রতিরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা, শিল্পোন্নয়ন, মেধাসম্পদ, জাহাজ রিসাইক্লিং এবং মেট্রোরেল বিষয়ে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্রে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।’

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয়পক্ষ রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) এবং বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরেই ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে এমআইডিআই এবং বিগ-বি উদ্যোগ গ্রহণ এবং বঙ্গোপসাগর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর যোগাযোগ স্থাপনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং জাপান সরকারের আতিথেয়তায় আমি এবং আমার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গভীরভাবে মুগ্ধ। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যে কয়েকটি দেশ ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান তাদের মধ্যে একটি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হওয়ায় আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা জাপানের সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি।’

Share This Article


গ্রামীণ ফোনের ইনকামিং কল চার্জ বন্ধ করলেও বিদেশী বন্ধুদের দ্বারা সরকারকে থ্রেট দিয়েছিলেন ইউনুস!

পোশাকের নতুন বাজার: আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ১০ গুণ বেড়েছে রপ্তানি!

পাহাড়ে ‘কেএনএফ’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আসলে কারা?

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় শঙ্কা: বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়

প্রধানমন্ত্রীর মুখে গ্রামীন ফোন নিয়ে ধোঁকাবাজির গল্প!

কেমন আছে ইউনুসবিহীন গ্রামীন ব্যাংক?

ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণের ‘সাপ্তাহিক কিস্তি’ চক্র যখন ফাঁদ

ইজরাইলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের স্বারক পুরস্কারকে কেন ইউনেস্কোর বলে চালালেন ইউনুস?

গ্রেফতার হবার আগেই যেভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন বঙ্গবন্ধু

ইউনূসের বিরুদ্ধে যত মামলা: কারা, কবে,কেন করেছে

ইউনূসের সমঝোতার প্রস্তাবে কেন সাড়া দেয়নি সরকার

জ্বালানীর চাপ কমাতে ৪৫ হাজার সোলার সেচ পাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা!